দীর্ঘসময় টয়লেটে বসে থাকলে হতে পারে ভয়ানক রোগ!

 অনেকেই এখন টয়লেটে বসে মোবাইল স্ক্রল করেন। কেউ সংবাদপত্র পড়েন, কেউ আবার গেমও খেলেন। তাতে টয়লেটে বসে থাকাটা কারো কারো দীর্ঘ হয়ে যায়। যা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাসের কারণে অল্প বয়সেই পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য, মূত্রাশয়ের সমস্যা, এমনকি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও হতে পারে।


এক ডায়েটিশিয়ান জানান, দীর্ঘসময় টয়লেটে বসে থাকলে পেলভিক ফ্লোর পেশির ওপর চাপ পড়ে। এই পেশিগুলো মূত্রাশয় ও মলদ্বার নিয়ন্ত্রণ করে। চাপ পড়ে পেশিগুলো দুর্বল হয়ে গেলে প্রস্রাব বের হওয়া, মলত্যাগে অসুবিধা ও পেলভিক অস্বস্তি দেখা দিতে পাবেশি সময় টয়লেট সিটে বসে থাকার কারণে রক্ত সঞ্চালনও ব্যাহত হয়। এর ফলে রক্ত জমাট বেঁধে মলদ্বারের শিরা ফুলে যায়, যাকে পাইলস বলা হয়। প্রথমে সামান্য অস্বস্তি হলেও পরে এটি তীব্র ব্যথা, রক্তপাত ও ফোলাভাবের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।



ওই ডায়েটিশিয়ান জানান, মানুষের দেহে প্রাকৃতিকভাবেই মলত্যাগের সংকেত আসে। কিন্তু কেউ যদি সেটি দেরি করেন, তবে অন্ত্রে চাপ জমে এবং মল শক্ত হতে শুরু করে। এর ফলে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। দীর্ঘমেয়াদে কোষ্ঠকাঠিন্যই পাইলস ও অন্যান্য হজমজনিত সমস্যার দিকে ঠেলে দেয়। পেলভিক পেশি দুর্বল হলে মূত্রাশয়ের স্বাভাবিক অবস্থান পরিবর্তিত হয়। এর ফলে প্রস্রাব জমে থাকে ও দাঁড়ানোর সময় হঠাৎ লিক হয়ে যেতে পারে। এটি কেবল অস্বস্তি নয়, ভবিষ্যতে কিডনির ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে।


তাছাড়া টয়লেট শেষে ফ্লাশ করার সময় অসংখ্য জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। যদি তখন ফোন হাতে থাকে, সহজেই সেই জীবাণু ফোনে লেগে যায়। ফোন আবার শরীরের সঙ্গে বারবার স্পর্শ হয়, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।


তাই ঝুঁকি এড়াতে টয়লেটে ৫ মিনিটের বেশি বসবেন না। মলত্যাগের চাপ এলেই টয়লেটে যাবেন। ফোন, বই বা সংবাদপত্র নিয়ে টয়লেটে যাবেন না। প্রতিদিন প্রচুর পানি খাবেন ও আঁশযুক্ত খাবার খাবেন। আর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।রে।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post