বিয়ের আরবি শব্দ নিকাহ। শাব্দিক অর্থ দু’টি জিনিস একত্রিত করা। কখনও কখনও নিকাহ শব্দটি বন্ধন বা চুক্তি অর্থে ব্যবহৃত হয়। শরিয়তের পরিভাষায় বিয়ে হলো, এমন একটি চুক্তি যাতে বিবাহ দেয়া বা বিবাহ করা ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে উপভোগ বা একত্রে থাকা বা পরস্পর অংশীদার হওয়া বুঝায়।নারী-পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ স্বাভাবিক। বৈধ ভালোবাসায় এদের সিক্ত হওয়ার একমাত্র হালাল মাধ্যম হচ্ছে বিয়ে। বিয়ে করা আল্লাহর রসুলগণের আচরিত নীতি। এ হিসেবে এটি সুন্নত।ব্যক্তি বিশেষের অবস্থা অনুযায়ী এটি নানা পর্যায়ে রূপ নেয়। যেমন, সাধারণত বিবাহ সুন্নাত। কোনো ব্যক্তির চারিত্রিক স্খলন বা বড় গুনাহর সম্ভাবনা দেখা দিলে বিয়ে করা ফরজ। যার মধ্যে স্ত্রীর নানাবিধ হক বা অধিকার দেয়ার মোটেও যোগ্যতা নেই, তার পক্ষে বিবাহ করা নাজায়েজ। ক্ষেত্র বিশেষে বিবাহ ওয়াজিব, নফল ও মুস্তাহাবও হয়ে থাকে।
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,
তোমাদের কাছে এমন কোনো ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, যার চরিত্র ও ধর্মানুরাগ সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সঙ্গে (তোমাদের মেয়েদের) বিয়ে দাও। তোমরা যদি তা না কর, তাহলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে। (ইবনে মাজাহ: ১গুনাহ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে সামর্থ্য অর্জনের পাশাপাশি রোজা রাখা। সাহাবি হজরত আব্দুলাহ (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিয়ের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিয়ে করে, আর যে ব্যক্তি বিয়ের সামর্থ্য না রাখে সে যেন রোজা পালন করে। কেননা রোজা তার কামভাবকে দমন করবে। (নাসায়ি: ২২৪১)৯৬৭)
Post a Comment