কীভাবে বুঝবেন আপনি লিভার সিরোসিসে ভুগছেন

 


লিভার সিরোসিস একটি গুরুতর এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা ধীরে ধীরে লিভারের স্বাভাবিক কোষ নষ্ট করে ফেলে এবং তার জায়গায় শক্ত দাগ বা স্কার টিস্যু তৈরি করে। চিকিৎসকদের মতে, সময়মতো রোগ শনাক্ত করতে না পারলে এটি প্রাণঘাতী জটিলতায় রূপ নিতে পারে। তবে কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করলেই বোঝা সম্ভব লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কি না।বিশেষজ্ঞদের মতে লিভার সিরোসিসের প্রধান উপসর্গগুলো হলো:অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা – শরীর হঠাৎ করে খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া।


ক্ষুধামান্দ্য ও ওজন হ্রাস – স্বাভাবিক খাবার খেলেও ক্ষুধা না পাওয়া এবং ধীরে ধীরে ওজন কমে যাওয়া।


চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া – জন্ডিসের মতো উপসর্গ, যা লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত।


পেটে ও পায়ে পানি জমা – পেট ফুলে যাওয়া বা পায়ে ফোলাভাব দেখা দেওয়া।


সহজে রক্তক্ষরণ বা কালশিটে দাগ পড়া – লিভারের ক্ষতির কারণে রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা হ্রাস পায়।


মনের বিভ্রান্তি ও স্মৃতিভ্রংশ – লিভার টক্সিন দূর করতে না পারলে তা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।


ত্বকে চুলকানি ও শিরা ফোলা – শরীরজুড়ে চুলকানি, ত্বকে শিরা স্পচিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যালকোহল আসক্তি, হেপাটাইটিস বি ও সি সংক্রমণ, স্থূলতা এবং চর্বিজাতীয় লিভারের সমস্যা সিরোসিসের প্রধান কারণ। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সঠিক জীবনযাপন এবং ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাস থেকে বিরত থাকলেই রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।


বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, উপসর্গ দেখা দিলেই অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করলে জটিলতা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।ষ্ট হয়ে ওঠা।।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post