যে নিয়ম মেনে দোয়া করলে কবুল হয়

 


দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অস্পূর্ণ থাকে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন।দোয়া করার বেশ কিছু নিয়ম আছে। দোয়া করতে এ নিয়মগুলোর প্রতি খেয়াল রাখা আবশ্যক। দোয়া করার আগে সঠিক নিয়ত করুন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। দোয়া শুরু করার আগে আল্লাহর প্রশংসা করুন এবং নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরুদ পাঠ করুন।দোয়া করার সময় মনে মনে অঙ্গীকার করুন যে, আপনার হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও ভক্তি থাকবে। দোয়ায় বিনম্র ও বিনীতভাবে আল্লাহর কাছে হাজির হোন। নিজের দুর্বলতা ও প্রয়োজন প্রকাশ করুন।

 

সঠিক ভাষা ব্যবহার: আরবি ভাষা জানলে আরবিতে দোয়া করুন, না জানলে নিজের মাতৃভাষায় দোয়া করতে পারেন। ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব, ইশার নামাজের পরে দোয়া করা বিশেষভাবে মোবারক। রাতের তৃতীয় ভাগে দোয়া করারও বিশেষ ফজিলত রয়েছে।

 

আল্লাহর নামে শুরু করুন, ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করুন এবং শেষেও আল্লাহর প্রশংসা করুন। দোয়া করার সময় মনে মনে যেসব ব্যথা ও সমস্যা আছে, সেগুলো খুলে বলুন।নিজের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও দোয়া করুন। আল্লাহর রহমতের প্রতি আশা রাখুন এবং বিশ্বাস করুন যে তিনি আপনার দোয়া গ্রহণ করবেন।

 

এই আদবগুলো অনুসরণ করলে দোয়াগুলি আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

 

দোয়া ও মুনাজাত হামদ ও সালাতের মাধ্যমে শুরু করা সুন্নাত। যেমন এভাবেও শুরু করা যেতে পারে-

 

اَلْحَمْدُ لِلّهِ ربِّ الْعَالَمِيْنَ وَالصَّلَوةُ وَالسَّلامُ عَلَى سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ 

 


উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লা হি রব্বিল য়া-লামিন অস সালাতু ওস সালামু য়া’লা সায়্যিদিল মুরসালিন

 

অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহ পাকের জন্য, যিনি সমগ্র জাহানের প্রতিপালক এবং দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক সাইয়্যিদুল মুরসালীন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর।

 

হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন,

 

তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)

 


হাদিসে এসেছে-হযরত জাবির রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন।


অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)

 

রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

 

যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেহজরত সালমান রদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯)শি দোয়া করে (তিরমিজি ৩৩৮২)

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post