জিন তাড়াতে গিয়ে কুবি শিক্ষার্থী ও মাকে হত্যা করেন কবিরাজ

 


কুমিল্লায় মা-মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত কথিত কবিরাজ মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহামেদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার ঢাকা পালিয়ে যাওয়ার পথে তাকে আটক করা হয়।গ্রেফতার মোবারক হোসেন (২৯) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় ভাড়া থাকতেন।


 

কীভাবে ঘটল হত্যাকাণ্ড?

 


পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোবারক হোসেন স্বীকার করেছেন, তিনি প্রায় এক মাস ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন (২৩) ও তার মা তাহমিনা বেগমের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

 

আফরিনকে কথিত ‘জিনের কবল থেকে মুক্ত করতে’ ঝাড়ফুঁক করার নামে তাহমিনা বেগম তাকে বাসায় ডেকে আনতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন সকালে মোবারক দুটি ব্যাগ নিয়ে তাদের বাসায় যান। প্রথমে ঝাড়ফুঁক শেষে বাসায় পানি ছিটিয়ে বের হয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর আবারও ফিরে আসেন।

 

আরও পড়ুন: কুবি ছাত্রী ও মায়ের মরদেহ উদ্ধার: সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল

 

পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে আফরিনের কক্ষে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মোবারক। সেই মুহূর্তে মা তাহমিনা বেগম দেখে ফেলেন এবং বাধা দিতে গেলে মোবারকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তিনি তাহমিনাকে তার নিজ কক্ষে নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

 

এরপর আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সেও প্রতিরোধ করে। তখন তাকেও গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে মোবারক। হত্যাকাণ্ডের পর ঘর থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ চুরি করে পালিয়ে যান তিনি।

 

পুলিশের বক্তব্য

 


কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহামেদ খান বলেন, ‘এই কবিরাজ নিয়মিত তাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। গ্রেফতার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’

 

এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টায় কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরী এলাকার একটি ভবন থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নেমে অবশেষে মূল আসামিকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।



কুবি ছাত্রী ও মায়ের মরপুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে আফরিনের কক্ষে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মোবারক। সেই মুহূর্তে মা তাহমিনা বেগম দেখে ফেলেন এবং বাধা দিতে গেলে মোবারকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তিনি তাহমিনাকে তার নিজ কক্ষে নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

 

এরপর আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সেও প্রতিরোধ করে। তখন তাকেও গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে মোবারক। হত্যাকাণ্ডের পর ঘর থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ চুরি করে পালিয়ে যান তিনি।

 

পুলিশের বক্তব্য

 


কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহামেদ খান বলেন, ‘এই কবিরাজ নিয়মিত তাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। গ্রেফতার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’

 

এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টায় কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরী এলাকার একটি ভবন থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নেমে অবশেষে মূল আসামিকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।দেহ উদ্ধার: সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post