যেসব রোগের লক্ষণে পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া হয়

 


পায়ের তলায় হালকা জ্বালা অনেকেই সাধারণ ক্লান্তি বা দীর্ঘক্ষণ হাঁটার ফল মনে করে উপেক্ষা করেন। তবে এটি যদি ঘন ঘন বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, সঙ্গে ঝিমঝিম ভাব, অসাড়তা বা হাঁটাচলায় সমস্যা দেখা দেয়, তা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।পায়ের তলায় জ্বালাপোড়ার সম্ভাব্য কারণ. ভিটামিনের ঘাটতি

শরীরে ভিটামিন বি-১২, বি-৫, ভিটামিন ডি ও ই-এর ঘাটতি হলে নার্ভ ও পেশির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে পায়ের তলায় জ্বালা, ঝিমঝিম ভাব বা অসাড়তা দেখা দেয়। সমাধান হিসেবে ডিম, দুধ, মাছ, সবুজ শাকসবজি, বাদাম খাবারে রাখতে পারেন। প্রয়োজন হলে সাপ্লিমেন্টও ব্যবহার করা যেতে পারে।


২. স্নায়ুর ক্ষতি (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি)

ডায়াবেটিসে দীর্ঘদিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে পায়ের তলায় জ্বালা, সুই ফোটানোর মতো ব্যথা, পা অসাড় হওয়া এবং ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। হাঁটাচলা কঠিন হয়ে যেতে পারে।


৩. ফাঙ্গাল সংক্রমণ

ভেজা পরিবেশে বা অতিরিক্ত ঘাম হলে পায়ের তলায় ফাঙ্গাস জন্মাতে পারে, যা অনেকেই ‘অ্যাথলিটস ফুট’ হিসেবে চেনে। এতে চুলকানি, জ্বালা, পা ফাটা বা ত্বক খসখসে হয়ে যায়। নিয়মিত পা শুকনা রাখা, পরিষ্কার মোজা ব্যবহার এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম বা পাউডার ব্যবহার৪. রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা

দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে কাজ করা বা অযথা চাপযুক্ত জুতা ব্যবহারে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। এতে অক্সিজেন ও পুষ্টি কম পৌঁছায় এবং পায়ের তলায় জ্বালা, ব্যথা ও ক্লান্তি বাড়ে। মাঝে মাঝে পা উঁচু করে রাখা ও ভেন্টিলেটেড জুতা ব্যবহার উপকারি।


৫. থাইরয়েড ও কিডনি সমস্যা

থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা বা কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমতে পারে। এর প্রভাব স্নায়ুতন্ত্রে পড়ে, ফলে পায়ের তলায় জ্বালা বা অসাড়তা দেখা দেয়। সময়মতো পরীক্ষা ও চিকিৎসা না করলে সমস্যা বড় হতে পারে।


ঘরোয়া প্রতিকার


ঠান্ডা পানি দিয়ে পা ভিজিয়ে রাখা বা পানি ঢালা সাময়িক স্বস্তি দেয়।


অ্যালোভেরা জেল লাগালে জ্বালা ও প্রদাহ কমে।


নরম ও আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করুন।


নিয়মিত পা পরিষ্কার ও শুকনা রাখুন।


হালকা পা ম্যাসাজ বা ব্যায়াম রক্তসঞ্চালন বাড়ায়।


কখন চিকিৎসকের সজ্বালার সঙ্গে অসাড়তা বা ঝিমঝিম ভাব দেখা দিলে।


হাঁটাচলায় অসুবিধা হলে।


পায়ে ক্ষত বা ফাটল ভালো না হলে।


জ্বর, ফোলা বা ত্বকের রঙ পরিবর্তন হলে।ঙ্গে যোগাযোগ করবেন সহায়ক।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post