জাহাঙ্গীরনগন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে কারচুপিসহ বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদলের প্যানেল।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ছাত্রদলের সাদি, বৈশাখী, ইকরা ও সাজ্জাদ প্যানেলের পক্ষ থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা আসে।
এরআগে, নির্বাচন কমিশন বরাবর ৯টি অসঙ্গতির কথা তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ করে ছাত্রদলের প্যানেল।
এতে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণতন্ত্রের এই চর্চাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেল ঘোষণা করে। আমরা আশা করেছিলাম ফ্যাসিবাদী আমলে যে গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছে তা আবার পুনরুজ্জীবিত হবে।
আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চেয়েছিলাম। কিন্তু আজকের ভোট গ্রহণের সময় বিভিন্ন অসঙ্গতি আমাদেরকে হতাশ করেছে। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে জেতানোর জন্য প্রশাসন ফ্যাসিবাদ স্টাইলে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে।
ছাত্রদলের তুলে ধরা নানা অভিযোগ
১। যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেয়া।
২। প্রার্থীদেরকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে দেয়া হয়নি।
৩। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে ভোট গ্রহণকালে শিবির সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের হাতে লিফলেট বিতরণ করে।
৪। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে জাল ভোট দেয়া ও ভিপি প্রার্থীকে হেনস্থা করা হয়।
৫। কিছু কেন্দ্রে ভোট গ্রহণকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় একটি মহল ভোট কারচুপির মহোৎসবে মেতে ওঠে।
৬। কিছু কেন্দ্রের ভোটার অনুপাতে বুথের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোটারদের ভোগান্তি হয়।
৭। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে অমোছনীয় কালি ব্যবহার না করায় একই ব্যক্তি একাধিক ভোট প্রদান করতে পেরেছে।
৮। ভোটার তালিকায় প্রার্থীদের ছবি না থাকায় একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দিয়েছে।
৯। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদে তিন জন কার্যকরী সদস্যকে ভোট দেয়ার কথা থাকলেও ব্যালটে একজনের নাম উল্লেখ ছিল বলে অভিযোগ করে ছাত্রদল।
Post a Comment