ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হলুদ দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা

 

রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম হলুদ দুধ খাওয়ার রীতি অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। আধুনিক যুগেও অনেকেই এই অভ্যাস বজায় রাখেন। তবে জানেন কি, এই সাধারণ হলুদ দুধ শরীরের জন্য কতটা উপকারী? চলুন, জেনে নিই হলুদ দুধ পানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

হলুদের প্রধান সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন শরীরের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য কনিয়মিত হলুদ দুধ পান করলে শরীর সর্দি, কাশি, জ্বর, ফ্লু ও মৌসুমী সংক্রমণের বিরুদ্ধে আরো কার্যকরভাবে লড়তে পারে।

অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ

হলুদ দুধে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। যা ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি উপশমে সহায়তা করে। তাই এটি ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারীগভীর ঘুমে সহায়তা করে

ঘুমানোর আগে হালকা গরম হলুদ দুধ পান শরীর ও মনে প্রশান্তি আনে। এর উষ্ণতা ও হালকা মশলার গন্ধ মস্তিষ্ককে বিশ্রামের সংকেত দেয়, যা ঘুমের মান উন্নত করে এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে।


প্রদাহ কমায়

হলুদের প্রদাহ-নাশক উপাদান শরীরের বিভিন্ন অংশে থাকা লুকানো প্রদাহ কমাতে সহায়ক। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের ব্যথার মতো সমস্যায় এটি স্বস্তি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়

হলুদ দুধ মনোযোগ বাড়াতে, মানসিক অবসাদ দূর করতে এবং মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে। এটি নিউরোনকে সক্রিয় রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিশক্তি রক্ষায় সহায়ক।


দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমায়

দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ অনেক জটিল রোগ যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, আলঝাইমার ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কারকিউমিন, আদা ও দারুচিনির মতো প্রদাহ-নাশক উপাদানসমৃদ্ধ হলুদ দুধ নিয়মিত পান করলে এই রোগগুলোর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে।


ঘুমের আগে এক গ্লাস গরম হলুদ দুধ শুধু একটি প্রাচীন অভ্যাসই নয়, বরং এটি সুস্থ জীবনের জন্য এক উপকারী রুটিন হতে পারে।


শরীর ও মনকে আরাম দিতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে এই অভ্যাস গড়ে তোলা যেতেই পারে।

সূত্র : আজতক বাংলাদেয়।।রে।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post