পাকস্থলীর ক্যানসার নীরব ঘাতকের মতো কাজ করে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেন না। অথচ শুরুতেই সতর্ক হলে এ রোগ নিরাময়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েকটি উপসর্গ চিনে রাখলে পাকস্থলীর ক্যানসার আগেভাগেই শনাক্ত করা সম্ভব।প্রাথমিক যে লক্ষণগুলো খেয়াল রাখবেন:
বারবার হজমের সমস্যা – সামান্য খাবার খেলেও পেটে ভারী লাগা বা অস্বস্তি।
বমি বমি ভাব বা বমি – বিশেষ করে খাবারের পর অস্বাভাবিক বমি ভাব।
ক্ষুধামন্দা – হঠাৎ করে খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া।
ওজন কমে যাওয়া – কোনো কারণ ছাড়াই দ্রুত ওজন হ্রাস।
পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি – পাকস্থলীর আশেপাশে ক্রমাগত ব্যথা বা চাপ অনুভব।
কালো রঙের পায়খানা বা রক্তপাত – পাচনতন্ত্রে রক্তক্ষরণের ইঙ্গিত হতে পারে।
দুর্বলতা ও ক্লান্তি – রক্তশূন্যতার কারণে শরীরে শক্তি কমেচিকিৎসকদের পরামর্শ:
এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট বা ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং ধূমপান-অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে ক্যানসার জয় করা সম্ভব। তাই দেরি না করে শরীরের সতর্ক সংকেতকে গুরুত্ব দিন। যাওয়া।
Post a Comment