কার্টনের ভেতর সাদা কাপড় মোড়ানো ছিল শিশুটি। কবরস্থানে নিয়ে যান অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। তবে জানাজার আগে কবরস্থানের কেয়ারটেকার কার্টন খোলার সময় দৌড়ে পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। একপর্যায়ে সাদা কাপড় মোড়ানো শিশুটিকে দেখা যায় জীবিত। এসময় কেয়ারটেকার ফারুক মিয়ার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে যান সেখানে।রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের তালতলা পৌরসভা কবরস্থানে এমন ঘটনা ঘটে।
এদিকে, মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা শিশুটিকে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করেন। এরইমধ্যে তাকে দত্তক নিতে বেশ কয়েকজন নারী আগ্রহ প্রকাশ করেন।
চাঁদপুর পৌরসভার এই কবরস্থানের কেয়ারটেকার ফারুক মিয়া জানান, প্রতিদিনের মতো কবরস্থানে অবস্থান করছিলেন তিনি। এসময় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ছোট্ট একটি কার্টন ধরিয়ে দিয়ে বলেন, এর ভেতর মৃত শিশুর লাশ রয়েছে। আপনি কবর খুঁড়ে জানাজা শেষে দাফন করবেন। এর জন্য কিছু টাকাও তাকে দেওয়া হয়। কিন্তু যখনই কার্টন খুলে সাদা কাপড় মোড়ানো শিশুটিকে দেখার চেষ্টা করি। তখনই ওই লোক দৌড়ে পালিয়েএদিকে, জীবিত শিশুকে দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে আসা হয়। এমন খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী পুরুষ সেখানে ভিড় করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর সহায়তায় শিশুটিকে পাশে ফেমাস স্পেশাল হাসপাতাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টার নামে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ছোটন জানান, ৮শ’ গ্রাম ওজনের শিশুটি প্রথমে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তবে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আল্লাহ্'র রহমতে এখন ভালো আছে। তাকে বিশেষায়িত ওয়ার্ডে নিয়ে অক্সিজেনসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান জানান, পুরো সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ছেলে শিশুটিকে এখানে রাখাঅন্যদিকে, এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে দত্তক নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কে বা কারা এই শিশুটিকে কোথায় থেকে এনে কবরস্থানে নিয়ে আসে। তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বা এমন কেউ হতভাগ্য এই শিশুর মা কিংবা অভিভাবক দাবি করেননি। হবে। যায়।
Post a Comment