বর্তমান সময়ে যুবকদের মাঝে দাড়ি রাখার চল অনেক বেড়েছে। গালভরা দাড়িকে অনেকেই আজকাল স্টাইল হিসেবেই দেখে থাকেন। তবে গালে দাড়ির বৃদ্ধি মূলত জেনেটিকস অর্থাৎ জিনের প্রভাব কিংবা হরমোনের ওপর নির্ভর করে। তাই চাইলেও সবার দাড়ি সমানভাবে বৃদ্ধি পায় না। সুতরাং দাড়ির ঘনত্ব যেমন সবার এক হয় না, ঠিক তেমনি কিছু নিয়ম মেনে যত্ন নিলে মিলতে পারে এ সমস্যার সমাধান।
অনেকেরই গালের এদিক-ওদিক কয়েক গুচ্ছ দাড়ি দেখা যায়। কিন্তু মাঝখানে গালের কিছু অংশ ফাঁকা থেকে যায়। ইংরেজিতে একে ‘প্যাচি বিয়ার্ড’ বলে থাকে। এ ধরনের সমস্যা দূর করা সম্ভব। যদি ঘরোয়া কিছু টোটকা আপনি কাজে লাগাতে পারেআর যাদের একেবারেই দাড়ি গজায় না কিংবা খুব পাতলা হয়, এর পেছনে জেনেটিক বা হরমোনজনিত কারণ থাকতে পারে। সে কারণে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদিএ এখন বিভিন্ন কৃত্রিম পদ্ধতিতে দাড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধি করা যায়।
তবে দাড়ি বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নিয়মিত ব্যায়াম চর্চার মাধ্যমে। কারণ শরীরচর্চা ও ব্যায়াম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা দাড়ির বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাহলে দাড়ির বৃদ্ধিতেও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে, যা দাড়ির ফলিকলগুলোতে পুষ্টি পৌঁছাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন যেমন— বায়োটিন, ভিটামিন এ, সি, ই এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। ডিম, বাদাম, পালংশাক, মিষ্টি আলু, মাছ ইত্যাদি দাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্যকর খাবার চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগায়।
আবার আমলকীর তেলও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আমলকীর তেল চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে মনে করেন অনেকেই। অনন্ত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন গালে আমলকীর রস লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে আমলকী রোমকূপ ও হেয়ার ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। ফলে দ্রুত বৃদ্ধি পায় দাড়ি।
এ ছাড়া ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করেও এ ফল পেতে পারেন। নারিকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে হালকা গরম করে গালে কিছুক্ষণ মালিশ করুন। ক্যাস্টর অয়েল দাড়ির ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে মালিশ রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।
আর পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। সে কারণে কোলাজেন দাড়ির বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আবার পেঁয়াজ থেকে ত্বকে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও হতে পারে, সে কারণে শুরুতেই অল্প পরিমাণে ব্যবহার করে পরীক্ষা করে নিন।
এর পাশাপাশি মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করুন। এতে দাড়ির ফলিকল পরিষ্কার থাকে এবং লোম সহজে গজাতে পারে।ন।
Post a Comment