চন্দ্রগ্রহণের ছায়া! করণীয় কী?

 

আজ পূর্ণিমা। পাশাপাশি চন্দ্রগ্রহণও। প্রায় ১০০ বছর পর পৃথিবীতে এমন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটছে। পৃথিবীর বিরল এ মহাজাগতিক ঘটনা জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্র দুই দিক থেকেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আসুন জেনে নিই, বিশেষ এ তিথিতে জীবনের কুপ্রভাব কাটাতে করণীয় কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে।পূর্ণিমা তিথি চলবে রাত পর্যন্ত। এদিকে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণের তিথি চলছে। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে শুরু হয়ে চন্দ্রগ্রহণ চলবে দুপুর ৩টা ২ মিনিট পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশ থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা না গেলেও পূর্ণিমা পুরোপুরি দেখা যাবে।


 

একই দিনে দেশে পূর্ণিমা ও পৃথিবীতে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ ঘটায় বিশেষ এ তিথিটিতে কিছু সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। এদিকে জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, জীবনে নানা বিষয়ে কুপ্রভাব থেকে মুক্তি পেতে এবং পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণের ছায়া এড়াতে চন্দ্রগ্রহণের সময় কিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে।

 

জ্যোতিষীরা বলছেন, চন্দ্রগ্রহণ কারও জীবনে শুভ আবার কারও জীবনে অশুভ প্রভাব বয়ে আনতে পারে। পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণের ছায়া থাকায় কারও জীবনে বাড়তে পারে পারিপার্শ্বিক জটিলতা। তাই চন্দ্রগ্রহণের অন্ধকারের প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে জীবনে শুধু পূর্ণিমার আলো জ্বালাতে বিশেষ কিছু কাজ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন জীবনের সব অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে চন্দ্রগ্রহণের সময় ভুলেও কিছু কাজ করা যাবে না। আসুন একে একে জেনে নিই সে কাজগুলো।

 

১। চন্দ্রগ্রহণের সময় প্রকৃতিতে গ্রহণের ক্ষতিকর রশ্মি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাই চেষ্টা করুন গ্রহণের সময় রাস্তা বা খোলা জায়গায় না থাকার।

 

২। চন্দ্রগ্রহণের সময় কখনই আকাশের দিকে তাকাবেন না। এতে চোখ নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থা৩। গ্রহণের সময় ক্ষতিকর রশ্মি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বাতাসে ক্ষতিকর গ্যাসও তৈরি হয়। তাই এ সময় খাবার রান্না থেকে বিরত থাকুন। যতটা সম্ভব তৈরি খাবার ঢেকে রাখুন।

 

৪। গ্রহণ চলাকালীন ক্ষতিকর গ্যাস তৈরি হওয়ায় ভারী খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করুন। নয়তো পেটের অসুখে ভুগতে পারে৫। গর্ভবতী মায়েরা এ সময় বিশ্রাম নিতে পারেন। কিংবা ধর্মীয় কাজে মনোযোগী হতে পারেন।

 

৬। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীতে ক্ষতিকর রশ্মি ও গ্যাসের কারণে পরিবেশ দূষিত থাকে। যে কারণে এর ক্ষতিকর প্রভাব ত্বকে পড়তে পারে। তাই সম্ভব হলে গ্রহণ শেষে গোসল করে নিন।


এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসা বলছে, ক্ষতিকর রশ্মি বা গ্যাস থেকে বাঁচতে খালি চোখে চন্দ্রগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাই নাসা ও জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী মেনে চলুন প্রয়োজনীয় সব সতর্কতা। মনে রাখবেন, সতর্কতা মেনে চলায় কোনো ক্ষতি নেই, বরং তাতে লুকিয়ে রয়েছে সুরক্ষার চাবি।ন।কে।তারা।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post