নবীজিকে স্বপ্নে দেখার আমল

 

বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি মুমিনের হৃদয়ের স্পন্দন। নবীজির সঙ্গে স্বপ্নযোগে সাক্ষাৎ মুমিনের জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়। যারা স্বপ্নে নবীজির সাক্ষাৎ পান, তারাও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী।নবীজিকে স্বপ্নে দেখা বাস্তবে দেখার মতোই। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 


 

যে আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকে জাগ্রত অবস্থায়ই দেখল। (আবু দাউদ: ৫০২৩)

 


স্বপ্নে নবীজিকে দেখা সত্যই নবীজিকে দেখা। কেননা শয়তান নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আকৃতি ধারণ করতে পারে না। হাদিসে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

 

যে স্বপ্নে আমাকে দেখল সে আমাকেই দেখল। কেননা শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। (বুখারিআরেক হাদিসে এসেছে, ‘যে আমাকে স্বপ্নে দেখল, শিগগিরই সে আমাকে জাগরণে দেখবে অথবা সে যেন আমাকে জাগরণেই দেখল। আর শয়তান আমার রূপ ধরতে পারে না।’ (মুসলিম: ২২৬৬)

 

বিজ্ঞ আলেমরা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখার বিশেষ ৩টি আমল বর্ণনা করেছেন। তাহলো: 

১. অন্তরে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস ও ভালোবাসা ধারণ করা। 

২. সুন্নতের অনুসরণ। 

৩. বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। (ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ২হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, যে আমার উপর একবার দরুদ পড়বে, বিনিময়ে মহান আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাজিল করবেন। (মুসলিম ১/১৬৬)

 

আরেক হাদিসে আছে, হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

 

যে আমার উপর একবার দরুদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাজিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা বুলন্দ হবে। (নাসায়ি ১/১৪৫)/২৩৪): ৬৯৯৪)

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post