কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে এটা কি তাকদির নাকি পূর্বনির্ধারিত?

 বিয়ে মানুষের জীবনকে


শালীন, পবিত্র ও পরিপূর্ণ পথে পরিচালিত করে। মানব ইতিহাসের শুরু থেকে বিয়ের বিধান চলে আসছে। ইসলামে বিয়েকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে ব্যক্তি প্রাপ্তবয়স্ক এবং বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তার জন্য দেরি না করে বিয়ে করা একটি ইমানি দায়িত্ব।


নবী করিম (সা.) বলেন, হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যার বিয়ের সামর্থ্য আছে, তার বিয়ে করা উচিত। কেননা বিয়ে চোখকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা রাখে। কেননা রোজা যৌবনের খায়েশ কমিয়ে দেয়।(বোখারি: ৫০৬৫, মুসলিম: ১৪০০)


এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, বিয়ের জন্য কোনো নির্দিষ্ট তারিখ, দিন বা মাস ঠিক করা হয়নি। বরং সামর্থ্য থাকলে দেরি না করে বিয়ে করা উত্তম। তবে বিয়ের ক্ষেত্রে অনেকের মনে প্রশ্ন আসে কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে, তা কি পূর্বনির্ধারিত নাকি কর্মের ফল?

.রাজধানীর জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালাম মাদ্রাসার ফতোয়া বিভাগীয় প্রধান মুফতি আব্দুর রহমান হোসাইনী এ বিষয়ে জানান, কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে, সবই তাকদিরে লিপিবদ্ধ। কার সঙ্গে বিয়ে হবে, কে কখন মৃত্যুবরণ করবে, কোথায় চাকরি করবে সবই তাকদিরে লেখা আছে। কিন্তু মানুষ তা জানে না। তাই তাকদির পরিবর্তন করা যাবে কি না এই চিন্তা নিরর্থক।


তিনি আরও বলেন, তাকদিরে লেখা থাকা সত্ত্বেও, শরিয়ত অনুযায়ী বৈধ চেষ্টা এবং একাগ্র দোয়ার মাধ্যমে তা পরিবর্তন বা অর্জন সম্ভব। মহান আল্লাহর হুকুম ও দোয়ায় তাকদিরও পরিবর্তিত হতে পারে।

মুফতি আব্দুর রহমান হোসাইনী বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো পুণ্যবতী নারীকে বিয়ে করতে চায়, তাহলে সামাজিক রীতিনীতি মেনে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং দোয়া চালিয়ে যেতে হবে। মহান আল্লাহ মানুষকে পাথরের মতো অসহায় সৃষ্টি করেননি। বরং চেষ্টা ও উত্তম উপায় অবলম্বন করার দায়িত্ব মানুষের ওপর দিয়েছেন।

তিনি সংক্ষেপে উল্লেখ করেন, অতএব, কার বিয়ে কার সঙ্গে হবে এটি তাকদিরে লিপিবদ্ধ থাকলেও, চেষ্টা, ভালো উপায় অবলম্বন এবং দোয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post