জাকসু ভোট বর্জন করল ছাত্রদলসহ ৪টি প্যানেল ও ২০ প্রার্থী

 জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে ৪টি প্যালেন এবং ২০ জন প্রার্থী। ছাত্রদল ছাড়া অন্য তিন প্যানেল হলো- ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট সমর্থিত ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’।


এ ছাড়াও ভোট বর্জন করেছেন তিনজন শিক্ষক। তারা হলেন, অধ্যাপক নাহরিন ইসলাম খান, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও অধ্যাপক শামীমা সুলতানা।


বর্জনকারীরা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, পক্ষপাতমূলক আচরণ ও অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন।


বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টায় মওলানা ভাসানী হলে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রদল। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল মনোনীত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ, ভোটার তালিকা, ব্যালট প্রক্রিয়া—সবখানে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব হঅনিয়মের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ‘সংশপ্তক পর্ষদ’। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাকসু নির্বাচনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদপ্রার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা কারণগুলো লিখিত আকারে জানাচ্ছি।’


সংশপ্তক পর্ষদের অভিযোগ, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের জাল ভোটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোট দেওয়ার জায়গায় আগে থেকে পূরণ করা ব্যালট পাওয়া গেছে। শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ৪০০টি ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত করা হয়নি। যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণও মিলেছেছাত্রদল মনোনীত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী অভিযোগ করেন, ‘তাজউদ্দীন আহমদ হলে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি ছিল না। ২১ নম্বর হলে ছাত্রশিবিরের সহায়তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। নির্বাচন পুরোপুরি নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আমরা চায়নি। ওই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালটেই ভোট হচ্ছে।’


এক লিখিত বক্তব্যে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী স্মরণ এহসান বলেন, ‘এই নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি। তারা শুরু থেকেই আমাদের আস্থা, ভরসা ও আকাঙ্ক্ষার জায়গা নষ্ট করেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। তাদের মতে, এই অনিয়মের শুরু হয়েছে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের আরেক ভিপি প্রার্থী অমর্ত রায়ের প্রার্থিতা জোরপূর্বক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করার মধ্য দিয়ে।’ সেই ধারাবাহিকতায় আজ ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত দিনেও প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেঅনিয়মের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ‘সংশপ্তক পর্ষদ’। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাকসু নির্বাচনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদপ্রার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা কারণগুলো লিখিত আকারে জানাচ্ছি।’


সংশপ্তক পর্ষদের অভিযোগ, ১৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের জাল ভোটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোট দেওয়ার জায়গায় আগে থেকে পূরণ করা ব্যালট পাওয়া গেছে। শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও ভোটকেন্দ্রে মোট ৪০০টি ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। ভোটার তালিকায় ছবি যুক্ত করা হয়নি। যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। রফিক-জব্বার হলে তার প্রমাণও মিলেছে।


ভোট বর্জনকারী শিক্ষক অধ্যাপক শামীমা সুলতানা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন থেকে যেভাবে ব্যালট বাক্সগুলো পাঠানোর কথা ছিল, সেভাবে কিন্তু পাঠানো হয়নি। তারা এই নির্বাচনকে হালকাভাবে নিয়েছে। নির্বাচনের দিন নতুন নতুন ভোটার তৈরি করা হয়েছে। কেন অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হলো। আজকের নির্বাচনটা ছিল সাজানো নাটক। এ জন্য আমরা বর্জন করেছি।


এর আগে বিকেল চারটার কিছু আগে মাওলানা ভাসানী হলের গেস্টরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। 


তিনি অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই এই নির্বাচন ছিল সাজানো। বিভিন্ন হলে ভোটার তালিকায় ছবি না থাকা, ভোটকেন্দ্রে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি এবং একই শিক্ষার্থীর একাধিকবার ভোট দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব অনিয়মের কারণে তারা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


এর আগে দুপুরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসান অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ম অনুসরণ না করে জামায়াতের একটি কোম্পানি থেকে ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন সংগ্রহ করেছে। তার দাবি, ছাত্রশিবিরকে বিজয়ী করার নীলনকশার অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চাপে কমিশন শেষ মুহূর্তে ওএমআর মেশিনে গণনা বাদ দিয়ে হাতে হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে একই কোম্পানির সরবরাহ করা ব্যালট দিয়েই ভোট গ্রহণ হওয়ায় তারা আপত্তি জানিয়েছেন

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post