ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম বা হালকা গরম দুধ—শুধু ঘুম নয়, শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এটি দারুণ উপকারী হতে পারে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান, অ্যামিনো অ্যাসিড, সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন সরাসরি ঘুমের সঙ্গে জড়িত। এই উপাদানগুলো ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, দুধ একটি পূর্ণাঙ্গ পুষ্টিকর খাবার। নিয়মিত দুধ খাওয়ার ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকে না, মানসিক চাপ কমে এবং শরীর-মন থাকে চনমনে। এ কারণে দুধকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন রাতে গরম দুধ খাওয়ার অভ্যাস ঘুমের গুণগত মান বৃদ্ধি করে এবং স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়, এতে থাকা ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো উপাদান হাড় মজবুত রাখে এবং বিভিন্ন জটিল রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, দুধে যদি এক চিমটি কেশর বা এক চামচ মধু মেশানো হয়, তাহলে এর উপকারিতা আরও বৃদ্ধি পায়। তবে দুধের অতিরিক্ত গ্রহণ শরীরের ক্ষতিও করতে পারে। যাদের দুধে অ্যালার্জি আছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করা উচিত।
স্স্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস দুধ নিরাপদভাবে পান করতে পারেন। তবে বয়স, শারীরিক অবস্থা ও পুষ্টির প্রয়োজন অনুযায়ী দুধের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। কোনো অসুস্থতা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
Post a Comment