কবরে খেজুর ডাল পুঁতে দেয়া, ইসলাম কী বলে?

 



প্রত্যেক জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আর কবর পরকালীন জীবনের প্রথম ধাপ। এই ধাপে উত্তীর্ণ হলে পরের ধাপগুলো সহজ হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে, ‘আখেরাতের মানজিলসমূহের মধ্যে কবর হলো প্রথম মানজিল। এখান থেকে কেউ মুক্তি পেয়ে গেলে তার জন্য পরবর্তী মানজিলগুলোতে মুক্তি পাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে। আর এখান থেকে মুক্তি না পেলে তার জন্য পরবর্তী মানজিলগুলো আরো বেশি কঠিন হবে। রসুলুল্লাহ (স.) বলেন, আমি কবরের দৃশ্যের চাইতে অধিক ভয়ংকর দৃশ্য দেখিনি। (তিরমিজি : ২৩০৮)অনেকে জানতে চান, কবরে খেজুর ডাল পুঁতে দেয়া, ইসলাম কী বলে?


 

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, কবরে খেজুর গাছের ডাল পুঁতে দেয়া নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমল দ্বারা প্রমাণিত। বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, 

 

একদা রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি কবরে আজাব হচ্ছে জানতে পেরে একটি খেজুর গাছের ডালকে দুই টুকরা করে কবর দুটিতে গেড়ে দেন। (বুখারি : ১/১৮২)

 


আরেক বর্ণনায় আছে, বুরাইদা আসলামী (রা.) মৃত্যুর পূর্বে অসিয়ত করে যান, যেন তার কবরে খেজুর গাছের দুটি ডাল গেড়ে দেয়া হয়। (বুখারি এসব বর্ণনা দ্বারা কবরে খেজুর বা অন্য কোনো গাছের ডাল গেড়ে দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। তাই কেউ চাইলে মৃত ব্যক্তিকে মাটি দেয়ার পর কবরের উপর এক দুটি ডাল গেড়ে দিতে পারে। (তুহফাতুল মুহতাজ ৪/১৯০; ফাতহুল কাদীর ২/১০২; আলবাহরুর রায়েক ২/১৯৪; রদ্দুল মুহতার ২/২৪৫)

 

তবে কারো কারো মতে কবরে ডাল পুঁতে দেয়ার বিষয়টি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম-এর সাথে খাস ছিল, অন্যরা তা করলে কোনো ফায়দা হবে নাপ্রসঙ্গত, কেউ যদি কবরে ডাল পুঁতে দেয়, তাহলে এক্ষেত্রে তাকে যেমনিভাবে নিষেধ করা বা বিদয়াত বলার কোনো সুযোগ নেই; কেননা তা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে কেউ যদি কবরের ডাল না পুঁতে এবং তা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাই সালাম-এর সঙ্গে খাস হওয়ার ব্যাখ্যাকে গ্রহণ করে, তা হতে বিরত থাকে তা নিয়েও বাড়াবাড়ি করা ঠিক হবে না ।।: ১/১৮১)

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post