মুখ অতিরিক্ত ঘামে কেন, এর সমাধান কী? জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

 


ঘাম শরীরের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। গরমে বা তীব্র গরমের সময় শরীর ঘামলে তা কিছুক্ষণ পর শরীরকে ঠান্ডা করে। এ জন্য ঘামকে শরীর ঠান্ডা করার জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের রূপকও বলা হয়। কিন্তু সেই ঘাম যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে তা চিন্তার বিষয়। স্বাভাবিকের থেকে বেশি ঘাম হওয়াকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে হাইপারহাইড্রোসিস বলা হয়।ঘাম পুরো শরীর বা শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশে হতে পারে। গরমের সময় ব্যায়াম করলে বেশি ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। আবার কোনো ওষুধ সেবনের কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও বেশি ঘাম হতে পারে―যা খুব কম সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত ঘাম স্পষ্টতই অস্বাভাবিক।ব্যাপারে কথা বলেছেন ভারতের স্কিন ক্রাফট ল্যাবসের প্রধান ডা. কোস্তভ গুহ। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, অনেকেই অতিরিক্ত ঘাম নিয়ে চিন্তিত। ঘাম সাধারণত ভালো নয়। এরপরও শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ঘামের প্রবণতা থাকলে হাইপারহাইড্রোসিসের সমস্যা থাকতে পারে।


এ চিকিৎসক বলেন, মুখ ও মাথা ঘামার অর্থ হচ্ছে ক্রেনিওফেইশল হাইপারহাইড্রোসিস। এ জন্য শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে শীতল হয়, তাপমাত্রা কমে যায় কিন্তু হাইপারহাইড্রোসিস হলে কোনো কারণ ছাড়াই বেশি ঘাম হয়। এমনকি শরীর ঠান্ডাঅতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণ:

এ ব্যাপারে চিকিৎসক কোস্তভ বলেন, হাইপারহাইড্রোসিস ছাড়াও বংশগত, দীর্ঘ ঘামগ্রন্থি, আবহাওয়ার পরিস্থিতি, অতি আবেগ, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ এবং চিকিৎসাগত কারণেও মুখ ও মাথায় অস্বাভাবিক ঘাম হতে পারে।


ভারতের পুনেতে অবস্থিত কোরেগাঁও পার্কের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. হিতাশা পাতিল একটি তালিকায় হাইপারহাইড্রোসিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ সম্পর্কে জানিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে হাতের তালু, পায়ের তলা, বাহুমূল ও মুখ ঘামা। মুখ অতিরিক্ত ঘামার কারণ হচ্ছে একক্রিন গ্রন্থির অতিরিক্ত উত্তেজনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর নির্দিষ্ট কোনো কাঅ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার করা। বোটক্স ঘামগ্রন্থির স্নায়ুকে নিষ্ক্রিয় করে। যা প্রায় ৮ মাস বা এরও বেশি সময় স্থায়ী হয়। অ্যান্টিকোলিনার্জিক ওষুধ সেবন করতে পারেন, এটি মুখের ঘাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। বিষণ্নতা ও উদ্বেগের মতো অবস্থা কাটিয়ে তুলতে ব্যবহৃত ওষুধও অতিরিক্ত ঘাম সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উপায় হচ্ছে পাউডার ব্যবহার করা। এছাড়া সবশেষ উপায় হচ্ছে সার্জারির মাধ্যমে স্নায়ু কেটে ফেলা

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post