ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় বসতঘরের দরজা ভেঙে এক শিশু ও তার মা-বাবার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে নরসিংহপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।
মারা যাওয়া তিনজন হলেন রুবেল আহমেদ (৩৫), তাঁর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) এবং তাঁদের সন্তান জামিলা আক্তার (৫)। তাঁরা বগুড়ার ধুনট উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। আশুলিয়ায় নরসিংহপুর এলাকায় আবুল হোসেন দেওয়ানের নামের এক ব্যক্তির বাসায় ভাড়া থাকত পরিবারটি। রুবেল রাজমিস্ত্রি এবং সোনিয়া স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেস্থানীয় লোকজন জানান, আজ বিকেল পাঁচটার দিকে প্রতিবেশীরা কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে রুবেলদের কক্ষের দরজা-জানলা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। দীর্ঘক্ষণ ওই কক্ষ থেকে কোনো সাড়াশব্দ শুনতে না পেয়ে তাঁরা কৌশলে জানালা খুলে ভেতরে রুবেলকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের লাশ খাটের ওপর পড়ে ছিল। এরপর প্রতিবেশীরা প্রথমে বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের জানালে তাঁরা বিষয়টি আশুলিয়া থানা-পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে রাত আটটার দিকে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রুবেলের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মো. সোহাগ বলেন, তিনি অফিস থেকে আসার পর চেঁচামেচি শুনে ওই কক্ষের সামনে যান। পরে জানালা দিয়ে দেখেন যে রুবেল ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া। খাটের ওপর শিশুটার নাক দিয়ে কী যেন বের হচ্ছে। ওই নারীর নাক দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা চলছিল বলে তিনি শুনেছেন।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান ভুঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভেতর থেকে কক্ষটির দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে রুবেলকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। খাটের ওপরে ওই নারী ও তাঁর সন্তানের মরদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থলে সিআইডির লোকজন এসেছেন। তদন্তের পর ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।ন
Post a Comment