মানুষের জীবনে ভালোবাসা, সম্পর্ক ও স্মৃতি গভীরভাবে জড়িয়ে থাকে। প্রিয়জন হারানোর পর তাদের মুখাবয়ব বা ছবি দেখে অনেকেই আবেগে ভেসে যান। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে এখন মৃত আত্মীয় বা প্রিয়জনের ছবি মোবাইলে সংরক্ষণ করে রাখা বেশ স্বাভাবিক একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে একজন মুসলমানের জীবন শুধু আবেগ দিয়ে নয় শরিয়তের নির্দেশনা মেনে চলার মাধ্যমেই পূর্ণতা পায়। তাই প্রশ্ন জাগে, ঘরে মৃত মানুষের ছবি টানানো কি ইসলাম অনুমোদন করে
প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ফটোগ্রাফি বা মোবাইল ক্যামেরায় তোলা ছবির বিষয়ে আলেমদের মধ্যে দুটি মত রয়েছে:
এক শ্রেণির আলেমের মতে, মোবাইল বা ডিভাইসে ছবি রাখা জায়েজ। অন্য শ্রেণির আলেমদের মতে, সেটিও নাজায়েজ
অন্য এক হাদিসে এসেছে, ফেরেশতারা এমন ঘরে প্রবেশ করেন না, যেখানে কুকুর আছে অথবা কোনো প্রাণীর ছবি প্রদর্শিত রয়েছে। (মুসলিম: ২১০৬)
তবে প্রিন্ট করা ছবি বা আঁকা ছবি টানানো বিষয়ে কোনো আলেমের দ্বিমত নেই— এটি স্পষ্টভাবে নাজায়েজ। তাই জীবিত বা মৃত, কারোর ছবিই ঘরে টানানো বৈধ নয়। এমনটি করলে গোনাহ হবে।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) কাবাঘরে প্রবেশ করে ইবরাহিম (আ.) ও মরিয়ম (আ.)-এর ছবি দেখেন। তখন তিনি বলেন, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকবে, সে ঘরে ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না। (বোখারি: ৩৩৫১)
উল্লেখ্য: মৃত মানুষের ছবি মোবাইলে সংরক্ষণ করা নিয়ে আলেমদের মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও, ঘরে ছবি টানানো স্পষ্টভাবে হারাম ও গোনাহের কাজ।
ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী, মানুষ বা জীবজন্তুর ছবি ঘরে টানানো বৈধ নয়। তাই এ ধরনের ছবি নামিয়ে ফেলা এবং নষ্ট করে ফেলা কর্তব্য। তবে মোবাইলে ছবি রাখা নিয়ে মতভেদ থাকলেও, বিনা প্রয়োজনে ছবি প্রিন্ট করা বা প্রদর্শন করা হাদিসে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। (সূত্র: মাসিক আল কাউসার)
Post a Comment