ধূমপানের ফলে ফুসফুসে স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে ভালো সংবাদ হচ্ছে, ধূমপান ছাড়ার পর এই ক্ষতি সব সময় স্থায়ী হয় না। যদিও কোনো খাবার বছরের পর বছর ধূমপানের ক্ষতি মুছতে পারে না, তবে কিছু পুষ্টি উপাদান ফুসফুসের স্বাস্থ্যে সহায়তা করে।
এসব পুষ্টি উপাদান প্রদাহ কমায় এবং শরীরের প্রাকৃতিক আরোগ্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেতিনি আরো জানান, ধূমপান ছাড়ার পর সঠিক পুষ্টি ও নিয়মিত ব্যায়ামের সমন্বয় ফুসফুসকে পুনরুদ্ধার ও শক্তি ফেরাতে সাহায্য করে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সেসব খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক আজকের প্রতিবেদনে।
ক্রুসিফেরাস সবজি
ডা. গোয়েলের মতে, ব্রোকলি, ফুলকপি ও বাঁধাকপির মতো ক্রুসিফেরাস সবজিতে থাকে সালফোরাফেন নামক যৌগ। এটি ফুসফুসের ডিটক্স এনজাইম সক্রিয় করে, যা ধূমপানের মাধ্যমে জমে থাকা কার্সিনোজেন দূর করতে সহায়তা করে।
বিট ও ডালিম
তিনি বলেন, বিট ও ডালিমে থাকে প্রচুর নাইট্রেট, যা ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়। ফলে ধূমপায়ীদের শরীরে যে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়, তা কাটাতে সাহায্য করে এইসঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে ধূমপান ছাড়ার পর ফুসফুস মেরামত ও শক্তি ফিরে পেতে পারে।
অ্যাজমা, যক্ষ্মা, স্লিপ অ্যাপনিয়া ও সিওপিডি বিশেষজ্ঞ পালমোনোলজিস্ট ডা. সোনিয়া গোয়েল সম্প্রতি ৫টি খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলো ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে সুস্থ হতে সহায়তা করতে পারে। তার ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ধূমপান ত্যাগ করা সবচেয়ে জরুরি প্রথম ধাপ। তবে খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার যুক্ত করলে সুস্থ হওয়ার গতি অনেক বাড়তে পারেআপেল ও সাইট্রাস ফল
আপেলে থাকা কোয়েরসেটিন এবং সাইট্রাস ফলে থাকা ভিটামিন সি ফুসফুস মেরামতে কার্যকর। ডা. গোয়েল জানান, এই উপাদানগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করে এবং ধূমপান ত্যাগ করা ব্যক্তিদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
হলুদ
হলুদে আছে কারকিউমিন। উজ্জ্বল হলুদ রঙের এই যৌগের রয়েছে শক্তিশালী স্বাস্থ্য উপকারিতা—বিশেষত প্রদাহনাশক ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ। ডা. গোয়েলের ভাষায়, এই সোনালি মসলা শ্বাসনালীর দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামতে ফুসফুসকে সাহায্যগ্রিন টি
গ্রিন টিতে আছে প্রচুর ক্যাটেচিন, যা শুধু ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ডা. গোয়েলের মতে, গ্রিন টির ক্যাটেচিন প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ফুসফুসের প্রদাহ কমায় এবং সিওপিডি ও ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করেসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস। করে।। ফলগুলো।।
Post a Comment