সব সময় ক্লান্ত লাগার ৫ সাধারণ কারণ

 জীবন এখন ভীষণ ব্যস্ত। প্রতিদিনই মনে হয়, ২৪ ঘণ্টা যেন যথেষ্ট না—চাইলে আরও কিছু সময় দরকার হতো! কিন্তু কেমন হতো যদি আমাদের মধ্যে আরও একটু বেশি শক্তি থাকত?



অনেকেই জীবনের সবচেয়ে উর্বর সময়টা কাটিয়ে দেন এই ভেবে- ‘আমি এত ক্লান্ত কেন?’ আপনিও যদি এই দলে পড়েন, তাহলে জেনে রাখুন—আপনি একা নন। আর আপনাকে এই অবস্থায় থাকতে হবে চলুন জেনে নিই এমন ৫টি কারণ, যেগুলো আমাদের সব সময় ক্লান্ত করে রাখে—আর কীভাবে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া যায়।জীবনযাপনের ধরন



পর্যাপ্ত শারীরিক অ্যাকটিভিটি এবং সঠিক, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া—এই দুটো বিষয় ভালো ঘুমের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর ভালো ঘুম মানেই শক্তি, সতেজতা আর ভালো থাকা।



আজকের দিনে অনেক কাজই বসে করা হয়, তাই নড়াচড়া কমে যায়। তাই অন্তত প্রতিদিন রাতের খাবারের পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন, দুপুরে প্লেটে একটু বেশি সবজি রাখুন, আর যতটা সম্ভব রাতে ঠিক সময়ে ঘুমাতে যান—যাতে অন্তত ৮ ঘণ্টার ঘুম নিশ্চিত হয়।



২. স্ক্রিনের সামনে বেশি সময় কাটানো



মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব—সবগুলো ডিভাইস থেকে বের হওয়া নীল আলো (blue light) ঘুমে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। কারণ এই আলো মস্তিষ্ককে জানায়, দিন এখনও শেষ হয়নি!



তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে সব স্ক্রিন থেকে বিরতি নিন। দেখতে পাবেন সকালে ঘুম থেকে ওঠা অনেক সহজ হয়ে গেছে।



৩. থাইরয়েড সমস্যা



আমাদের শরীরে বিভিন্ন হরমোন শক্তি ও ক্লান্তির ওপর প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হলো হাইপোথাইরয়েডিজম (ভালো খবর হলো—এটি সহজেই নির্ণয়যোগ্য এবং চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই যদি দীর্ঘদিন ক্লান্তি অনুভব করেন, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।



৪. মেনোপজ (মহিলাদের ক্ষেত্রে)



মহিলাদের ক্ষেত্রে, মেনোপজ বা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার সময় হরমোনে বড় পরিবর্তন আসে, যা ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারও ঘুম বারবার ভেঙে যায় গরম অনুভবের কারণে, কারও আবার মানসিক চাপ বেড়ে যায়।



এমন অবস্থায় একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। হরমোন থেরাপি বা অন্যান্য উপায় এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।



৫. অতিরিক্ত মানসিক চাপ (স্ট্রেস)



দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ শরীর ও মন—দুটোর ওপরই প্রভাব ফেলে। বারবার ‘ফাইট-অর-ফ্লাইট’ মোডে থাকলে শরীর অতিরিক্ত কর্টিসল হরমোন তৈরি করে, যা ক্লান্তির বড় কারণ হতে পারে।



যেসব চাপ আপনি কমাতে পারেন, সেগুলো দূর করার চেষ্টা করুন। আর যেগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে (যেমন: যানজট, সকালে বাচ্চাদের তৈরি করা)—সেগুলোর জন্য নিজের যত্নে সময় দিন।



মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, অথবা গভীর শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম এসব স্ট্রেস কমাতে সহায়ক হতে পারে।



ক্লান্তি আমাদের জীবনের স্বাভাবিক অংশ হলেও, সব সময় ক্লান্ত থাকা কিন্তু স্বাভাবিক নয়। শরীর ও মনের যত্ন নিলে অনেকটাই উন্নতি সম্ভব। আর যদি মনে হয় নিজের চেষ্টা যথেষ্ট নয়, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে শক্তির সঙ্গে দিন কাটানো সম্ভব—শুধু তার জন্য নিজের দিকে একটু নজর দেওয়াটা দরকার।কথা বলাটা দেরি করবেন না।থাইরয়েড কম কাজ করা)।না।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post