কথা বলতে বলতে আচমকা জিভ অবশ হয়ে গেল। হাত তুলে বোঝানোর চেষ্টা করতে গিয়ে দেখলেন হাত তোলাও অসম্ভব। শরীরের একপাশ অসাড় হয়ে গেল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনি আবার সব আগের মতোই স্বাভাবিক হলেন।
এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার গুরুত্ব মনে হলো না। পরে আচমকাই একদিন বড়সড় স্ট্রোকের ধাক্কা প্রাণসংশয় বাড়িয়ে দিল। ব্রেনস্ট্রোক বলেকয়ে আসে না। এর উপসর্গও সবার ক্ষেত্রে এক রকম নয়। তাই স্ট্রোকের যা লক্ষণ হতে পারে তা চিনে নিয়ে সতর্ক থাকা ভীষণ জরুরিমনে রাখবেন, হাঁটাচলা করা কিংবা দৌড়ানো— সবকিছুরই সংকেত আসে মস্তিষ্ক থেকে। আর মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমতে শুরু করলে তা পেশিতেও প্রভাব ফেলে। পেশি শক্ত হয়ে যায়। তাই হাত-পা নাড়াতেও তখন সমস্যা হয়। এমন সমস্যা যদি অনুভব করেন, সেই সময়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভীষণ জরুরি। কারণ অপেক্ষা করলেই বাড়তে পারে কঠিন বিপদ।
কারণ স্ট্রোক এমনই এক অসুখ, যার লক্ষণ অনেক ক্ষেত্রে আগে থেকে বোঝা যায় না। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অক হেলথ থেকে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র অনুসারে— বড়সড় স্ট্রোকের ধাক্কা আসার আগে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। সেগুলো চিনতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন উপসর্গে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে—
আপনার আচমকা মাথা ঘুরতে থাকবে। আপনি দাঁড়িয়ে থেকে, বসে থাকার সময়ে কিংবা কম্পিউটারে কাজ করার সময়ে মাথা ঘুরে চোখে অন্ধকার দেখতে পারেন। কিছু সময়ের জন্য তা হবে। এমন যদি লাগাতার হতে থাকে, তাহলে সতর্ক হতে হবে। আবার শরীরের একদিকে ব্যথা হবে। যেমন— বাঁ হাত কিংবা বাঁ কাঁধ অথবা শরীরের বাঁ দিকের অংশে ব্যথা, সেদিকে অসাড় ভাব দেখা দিতে থাকবে।
এ ছাড়া কথা বলার সময়ে জিভ ভারি লাগবে, মনে হবে কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। এমন সমস্যা যদি প্রায়ই হয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মুখের পেশির কম্পন হবে মাঝেমধ্যেই। কথা বলার সময়ে মনে হতে পারে মুখ বেঁকে যাচ্ছে। মুখের পেশির অসাড়তা স্ট্রোকের অন্যতম বড় লক্ষণ।
এটা ছাড়াও মাথায় যন্ত্রণা হবে। একে অনেকেই মাইগ্রেনের ব্যথা ভেবে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। তাতে বিপদ আরও বাড়বে। দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকবে। মাঝেমধ্যেই দেখবেন, চোখের সামনে সব কিছু ঝাপসা লাগছে অথবা ডবল ভিশনের সমস্যা দেখা দেবে। সুতরাং এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুতই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
লাইফস্টাইল।
Post a Comment