কেন কম বয়সে ব্রেন স্ট্রোক বাড়ছে? বিশেষজ্ঞ জানালেন সতর্ক হওয়ার উপায়

 





একেবারে সুস্থ-সবল, তেমন কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। আচমকা টিভি দেখতে দেখতে অস্বস্তিবোধ করেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী মল্লিক। হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায়, তিনি মৃদু ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত। আপাতত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।কিছু বছর আগেও সাধারণত বয়স ৬০ পেরোনোর আগে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি তুলনামূলক কম ছিল। কিন্তু এখন সেই রোগ অল্প বয়সীদেরও কাবু করছে। কেন এমনটা হচ্ছে? জানালেন রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্ট নিউরোলজিস্ট ও বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস-এর প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ডাঃ গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়।কী এই ব্রেন স্ট্রোক?


চিকিৎসকের ভাষায়, মূলত দু’ধরনের স্ট্রোক হয়ে থাকে—


ইস্কেমিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হলে হ্যামারেজ স্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে হয়।



যে ধরনের স্ট্রোকই হোক না কেন, সময়মতো চিকিৎসা ও সঠিকভাবে লক্ষণ শনাক্ত করাই জীবন বাঁচাতে পারে।


 


কেন বাড়ছে তরুণদের মধ্যে ব্রেন স্ট্রোক?


ডাঃ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, বর্তমান প্রজন্মের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনই মূল কারণ। তাঁর কথায়,


➡️ অল্প বয়সেই হাই প্রেশার, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও হার্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।


➡️ ধূমপান, মদ্যপান ও মাদকের নেশা সরাসরি স্ট্রোকের➡️ ওজন বৃদ্ধি ও ফাস্ট ফুড নির্ভরতা শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।


➡️ কোনও অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলেও তরুণ-তরুণীরা তা এড়িয়ে যান।


➡️ দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপও অল্প বয়সে স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।


➡️ জিনগত প্রভাব, শরীরে প্রদাহ বা ইনফেকশন, এমনকি ভিটামিনের ঘাটতিও স্ট্রোক ঘটাতে পারে।


➡️ মেয়েদের ক্ষেত্রে, গর্ভনিরোধক বা হরমোন নিয়ন্ত্রণের ওষুধ রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়।


➡️ কম শারীরিক নড়াচড়া, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ও ঘুমের অভাবও বিপদ ডেকে আনে।


➡️ যাঁদের অতিরিক্ত নাক ডাকার সমস্যা (স্লিপ অ্যাপনিয়া) আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি দ্বিগুণ।


 


👉 বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ জীবনযাপন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পর্যাপ্ত ঘুম ও শরীরচর্চা করলেই অনেকাংশে এই ঝুঁ


কি কমানো সম্ভব। ঝুঁকি বাড়ায়।ঘটে।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post