জগন্নাথন নিউরোসার্জারি ইনস্টিটিউটের নিউরোসার্জন ডা. জে জগন্নাথন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মস্তিষ্কের টিউমারের কিছু লুকানো লক্ষণের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেন, “আমার অভিজ্ঞতায় অনেক রোগী সূক্ষ্ম উপসর্গগুলো উপেক্ষা করেন—যার ফলে পরে টিউমার ধরা পড়ে। দ্রুত সনাক্তকরণ চিকিৎসার ফলাফল পরিবর্তন করতে পারে।”মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, মস্তিষ্কের টিউমার হল মস্তিষ্কের ভেতরে বা চারপাশে অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধি। এটি ক্যান্সারজনিত বা অ-ক্যান্সারজনিত হতে পারে। যদিও সব টিউমার ক্যান্সার নয়, মস্তিষ্কের ক্যান্সার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করা এবং সমস্যা স্থায়ী বা বাড়তে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।. জগন্নাথন উল্লেখ করেছেন যে, মানুষ প্রায়ই এই উপসর্গগুলোকে মানসিক চাপ বা সাধারণ সমস্যা মনে করে উপেক্ষা করেন। তিনি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ উল্লেখ করেছেন যা প্রায়শই উপেক্ষিত হয়:
অব্যাহত মাথাব্যথা – যা সাধারণ ব্যথার থেকে আলাদা অনুভূত হয়।
দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন – ঝাপসা দেখা, ডাবল ভিশন বা পাশের দৃশ্য হারাস্মৃতি ও মনোযোগের সমস্যা – সাম্প্রতিক ঘটনা ভুলে যাওয়া, কথা বা শব্দ খুঁজে পেতে অসুবিধা।
ব্যক্তিত্ব বা মেজাজ পরিবর্তন – হঠাৎ রাগ, বিষণ্ণতা বা আচরণে পরিবর্তন।
দাঁত/হাত-পা ঝিঁঝিঁ বা খিঁচুনি – এমনকি একবারের ঘটনা হলেও তা গুরুত্বপূর্ণ।
ডা. রোহিত বানসিল, বিএলকে-ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিউরোসার্জি ও নিউরোস্পাইন সহ-পরিচালক, জুলাই ২০২৫-এ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৪০,০০০ মস্তিষ্কের টিউমারের ঘটনা ধরা পড়ে, যা মোট ক্যান্সারের প্রায় ২ শতাংশ। দ্রুত সনাক্তকরণ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ফলাফলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূডা. জগন্নাথন মনে করিয়ে দিয়েছেন, “প্রাথমিক মূল্যায়ন জীবন রক্ষা এবং চিকিৎসার সফলতা বাড়াতে সহায়ক।
Post a Comment