স্তন ক্যানসার কী?
স্তন ক্যানসার তখনই শুরু হয়, যখন স্তনের কোষ অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে এবং টিউমার গঠন করে। এই টিউমার এক্স-রেতে ধরা পড়ে বা স্পর্শে অনুভব করা যায়এটি আশেপাশের টিস্যু বা শরীরের অন্য অংশেও ছড়াতে পারে। যদিও এটি মূলত নারীদের মধ্যে দেখা যায়, পুরুষরাও আক্রান্ত হতে পারেন।কারণসমূহ: যদিও নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি, কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেমন: ৫০ বছরের বেশি বয়স, পারিবারিক ইতিহাস, পূর্বে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া, হরমোন ইস্ট্রোজেনের প্রভাব, তবে কেউ ঝুঁকিতে না থাকলেও আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রধান লক্ষনতুন পিণ্ড বা ভর অনুভব, স্তনের ত্বকে ডিম্পল বা জ্বালা, স্তনবৃন্ত ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া, ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা ত্বকে রঙের পরিবর্তন, স্তনবৃন্ত থেকে দুধ ছাড়া অন্য কিছু নিঃসরণ, বাহুর নিচে বা গলার পাশে গিঠলি।
নির্ণয় পদ্ধতি:
ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা ও ম্যামোগ্রাম, আল্ট্রাসাউন্ড, এমআরআই বা ডাক্টোগ্রামের মাধ্যমে ক্যানসার নির্ণয় করে থাকেন।
চিকিৎসা পদ্ধতি:
স্থানীয় চিকিৎসা: রেডিয়েশন বা সার্জারির মাধ্যমে আক্রান্ত অংশে সরাসরি চিকিৎসা।
পদ্ধতিগত চিকিৎসা:
কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি বা টার্গেটেড থেরাপির মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগ।
প্রতিরোধ ও সচেতনতা: নিয়মিত স্ব-পরীক্ষা, ম্যামোগ্রাম এবং স্ক্রীনিং পরীক্ষার মাধ্যমে স্তন ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা সম্ভব। সময়মতো চিকিৎসা রোগমুক্তির সম্ভাবনা বাড়ায়।ণ:।
Post a Comment