দুধ আমাদের দৈনন্দিন 'জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই পানীয়টিকে অনেকেই ‘সুষম খাদ্য’ বলেই চেনেন। দুধে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ল্যাকটোজ, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ—যা শরীরের গঠন ও বৃদ্ধি, হাড়ের শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার জন্যই উপযোগী এই পানীয়টিকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
তবে এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলোর সঙ্গে দুধ একসঙ্গে খেলে উপকারের বদলে হতে পারে মারাত্মক অপকার। হজমের গোলমাল, গ্যাস্ট্রিক, বমি, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি পুষ্টিহানিসহ বিভিন্ন সমস্যার শিকার হতে পারেন আপচলুন, জেনে নিই কোন ৬টি খাবারের সঙ্গে দুধ খাওয়া উচিত নয়—লেবুতে থাকে ভরপুর ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিড। এটি উপকারী হলেও দুধের সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। লেবুর অ্যাসিড দুধের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়। ফলে পেটব্যথা, বমি কিংবা হজমের গোলমাল হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ খাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা পর লেবু খাওয়া যেতে পারে।
মাছ-মাংস ও দুধ একসঙ্গে নয়
দুধ ও উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার একসঙ্গে খেলে হজমে ব্যাঘাত ঘটে। অনেকেই মাছ বা মাংসের পর এক গ্লাস দুধ খান, কিন্তু এটি মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এতে ডায়রিয়া, বমি কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
কলা ও দুধ একসঙ্গে না
অনেকেই সকালের নাশতায় কলা ও দুধ একসঙ্গে খান। কিন্তু এই অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। আয়ুর্বেদের মতে, দুধ ও কলা একসঙ্গে খেলে শরীরে কফের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া যাদের হজম ক্ষমতা দুর্বল, তাদের জন্য এটি আইডলি দোসাকে দুধের থেকে দূরে রাখুন
দক্ষিণ ভারতীয় খাবার ইডলি ও দোসা ফার্মেন্টেড অর্থাৎ খামিরযুক্ত। দুধের সঙ্গে এই খাবার খেলে হজমের গোলমাল, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
চকোলেটের সঙ্গে সাবধান
চকোলেট ও দুধ একসঙ্গে খেতে মন্দ নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোকোতে থাকা অক্সালেট দুধ থেকে ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে হাড়ের ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া ওজন বৃদ্ধি ও রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়তে পারে।
ফাস্টফুড ও দুধ বিপজ্জনক জুটি
পিৎজা, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা বিরিয়ানি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই তা বাদ দিন। এতে হজমে সমস্যা হয় এবং দুধের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই দুধের উপকার পেতে চাইলে ফাস্টফুডের সঙ্গে তা নাপকেটে রাখা মোবাইলই কমাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা!প্রযুক্তি ছাড়া এক মুহূর্তও যেন চলে না আমাদের। অফিসের ব্যস্ততা হোক কিংবা বাড়ির অবসরে সময় কাটানো—দিনভর হাতে মোবাইল, কোলে ল্যাপটপ নিয়ে থাকা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই অভ্যাসই হয়ে উঠতে পারে ভবিষ্যতের বড় বিপদের কারণ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, দীর্ঘ সময় ধরে পকেটে মোবাইল ফোন রাখা কিংবা কোলে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করার ফলে ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা। বাড়ছে বন্ধ্যত্বের আশঙ্কাও।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জেনেটিক্স রিসার্চ ইউনিট এবং ইনস্টিটিউট অব রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন যৌথভাবে এ গবেষণা চালায়। ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী প্রায় ১২০০ পুরুষ অংশ নেন এই গবেষণাএতে দেখা গেছে, নিয়মিতভাবে মোবাইল পকেটে রাখা বা ল্যাপটপ কোলের ওপর রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার ফলে শুক্রাণুর ঘনত্ব হ্রাস পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, শুক্রাণুর গঠনে পরিবর্তন, গতিশীলতায় ঘাটতি এবং ডিএনএর ক্ষয়ক্ষতিও লক্ষ করা গেছে।
গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি জানান, প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় মোবাইল ফোন পকেটে রাখা কিংবা ল্যাপটপ কোলের ওপর নিয়ে বসে থাকার অভ্যাস সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন ৩০ বছরের কম বয়সী যুবগবেষক সমুদ্র পাল জানান, যেসব তরুণের শরীরে নির্দিষ্ট ধরনের জেনেটিক মিউটেশন রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা আরও বেশি। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, আসক্তি ও জেনেটিক গঠন বিশ্লেষণ করেই এমন ফল উঠে এসেছে বলে জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও সচেতন না হলে ভবিষ্যতে প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সংকটে পড়তে হতে পারে অনেককেই।করায়। খাওয়াই ভালো।রও ঝুঁকিপূর্ণ।নি।
Post a Comment