হিজরিতে সুলতান মুহাম্মাদ ইবন কালাউনের আমলে হুজরার ওপর একটি গম্বুজ নির্মিত হয়, যার নিচের অংশ ছিল চতুর্ভুজ এবং উপরের অংশ অষ্টভুজাকৃতির। এটি সীসার পাত দিয়ে আবৃত ছিল।
৮৮৬ হিজরিতে অগ্নিকাণ্ডের ফলে গম্বুজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৮৮৭ হিজরিতে সুলতান কায়িতবা গম্বুজটি পুনর্নির্মাণ করেন। তখন ইটির তৈরি মজবুত ভিত নির্মাণ করা হয়। হুজরা মোবারকের দক্ষিণ দিকের দিকে তামার জানালা স্থাপন করা হয়, যার ওপরের অংশ ছিল তামার তৈরি জালি দিয়ে আবৃত। আর উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম দিকের জানালাগুলো ছিল লোহার, যেগুলোর ওপরের অংশে তামার জালি ছিল।
১২৩৩ হিজরিতে, সুলতান মাহমুদ ইবন আবদুল হামিদের শাসনামলে গম্বুজটি সর্বশেষবারের মতো পুনর্নিমাণ করা হয়। তখন এটি আবার ফেটে গিয়েছিল, তাই তিনি তার উপরিভাগ ভেঙে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ দেন। সেই গম্বুজ এখনো টিকে আছে। ১২৫৩ হিজরিতে, উসমানি সুলতান আবদুল হামিদ গম্বুজটিকে সবুজ রঙে রঙ করার নির্দেশ দেন। এরপর থেকে এটি সবুজ গম্বুজ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
রওজা পাকের বর্তমান কাঠামো উসমানীয় আমলে তৈরি। ১৯১৭ সালে মদিনায় নিযুক্ত উসমানীয় গভর্নর ফাখরি পাশা এটি নির্মাণ করেন। সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার অবকাঠামোতে মৌলিক কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
তথ্যঋণ: রওজা পাকের ইতিকথা ও রাসুলের রওজা; সৌদিপিডিয়া ডটকম, উইকিপিডিয়া ও ইসলাম কিউএ ডটইনফো
Post a Comment