বিরিয়ানি হোক বা পায়েস— খাবার পাতে এলাচ (health benefits) পড়লেই মেজাজ বিগড়ে যায়। আবার এই মশলা ছাড়া খাবারে স্বাদও আসে না। কিন্তু জানেন কি, এলাচকে ‘মশলার রানি’ বলা হয়। খাবারে স্বাদ বাড়াতে এই মশলার জুড়ি মেলা ভার। তার সঙ্গেই এই মশলার স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। খাবার খাওয়ার পরে মুখশুদ্ধি হিসেবে এলাচ (chewing cardamom) খান, এতে দারুণ উপকারিতা মেলে।হজমের গোলমাল দূর হয়
বদহজমের সমস্যা দূর করতে সহায়ক এলাচ। এলাচের দু’টো দানা চিবিয়ে খেলে গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপার মতো বদহজমের সমস্যা দূর করতে পারবেন। ভারী খাবার খাওয়ার পরে এলাচের দানা চিবিয়ে খেলে পেটের অস্বস্তি থেকেও মুক্তি মিলবে। ঝাল-মশলা খাবার খাওয়ার পরে বুক জ্বালা, অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূর করে এলাচ। বমি বমি ভাব হলে এলাচ চিবিয়ে খেতে পারেন। আয়ুর্বেদে এলাচ ব্যবহার করা হয় হজম স্বাস্থ্য উন্নত করতেমুখশুদ্ধি হিসেবে এলাচ খান
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে মুখশুদ্ধি হিসেবে এলাচের দানা চিবিয়ে খেতে পারেন। এলাচের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক তেল মুখের মধ্যে দুর্গন্ধ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। পাশাপাশি ওরাল হাইজিন বজায় রাখতেও সাহায্য করে এলাচ। মাড়ির সংক্রমণ এবং দাঁত ও মাড়ির সমস্যাও কমায় এলাচ।
টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে
এলাচ ডিরেটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। এলাচ চিবিয়ে খেলে শরীরে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। এটি কিডনি ও লিভারে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বাইরে বের করে দেয়। এতে কিডনির স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
এলাচের মধ্যে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে এবং শরীরে রক্ত সচল রাখে। এর জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি এড়াতে হলে খাওয়ার শেষে এলাচের দানা চিবিয়ে খান। অনেক সময়ে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এলাচ।।
Post a Comment