যে দোয়া পড়ে মারা গেলে নিশ্চিত জান্নাত

 উল্লেখ্য, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আলমে বারযাখের জীবন শুরু হয়। লাশ ফ্রিজে থাকুক বা মাটিতে, আল্লাহর কাছে কিছুই অজানা নয়। তাই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর কাছেই।


শাদ্দাদ ইবনে আওস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সাইয়েদুল ইস্তেগফার সকালে পড়ে সন্ধ্যার আগে মারা যায় বা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তাহলে সে জান্নাত লাভ করবে। (সহিহ বুখারি)


সাইয়েদুল ইস্তিগফার হলো,

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ


দোয়া স্বতন্ত্র ইবাদত। দোয়াকে বলা হয় ইবাদতের মগজ। হাদিস অনুযায়ী, যে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। (তিরমিজি: ৩৩৭৩) হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো কিছু নেই।’ (ইবনু মাজাহ: ৩৮২৯)

স্তেগফার আল্লাহ তাআলার ক্ষমা পাওয়ার উপায়। এ ছাড়া এটি একটি পৃথক ইবাদতও বটে। সজ্ঞানে কোনো গুনাহ না করলেও জানা-অজানা, ছোট বড় সব গুনাহের জন্য সব সময় আল্লাহ তাআলার কাছে ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকা উচিত। এটা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের বড় মাধ্যম।


কারণ ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার প্রতি বান্দার ইমান, আনুগত্য ও মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ পায়। আল্লাহর প্রতি ভরসা ও নির্ভরতা প্রকাশ পায়। বিনয় ও অহংকারহীনতা প্রকাশ পায়। বান্দা যখন সত্যিকার অনুশোচনা নিয়ে নিজের অসহায়ত্ব ও আল্লাহর কাছে মুখাপেক্ষিতা প্রকাশ করে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার পাশাপাশি তার দিকে সন্তুষ্টি ও রহমতের দৃষ্টি দেন। ফলে জীবনের সব ক্ষেত্রেই সে বরকত ও রহমত লাভ করে।


আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, অনুশোচনা নিয়ে তার দিকে ফিরে যাও, তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের শক্তিকে আরো শক্তি দিয়ে বাড়িয়ে দেবেন। (সুরা হুদ: ৫২)


আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা। (সুরা নুহ: ১০-১২)

: আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।


অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার রব। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার বান্দা। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমাকে যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।


Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post