হারসুটিজমের লক্ষণ : নারীদের চিবুক (দাড়ি গজানো), ঠোঁটের ওপরের অংশ (গোঁফ গজানো), গালের পাশে, বুকে, স্তনে, পিঠে, তলপেটে, নিতম্বে কালো ও মোটা চুল গজানো। কারও Pcos থাকলে, স্থূলতা, মাসিকে অনিয়ম, সন্তান না হওয়া, পুরুষালী কণ্ঠ, পুরুষালী কট ইত্যাদি থাকলে।
রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা : সাধারণত যেসব পরীক্ষা করা লাগতে পারে তা হলোÑ রক্তের estosterone, Prolactin. TSH, Lipidprofile, GTT 24 hour Urinary cortical level Usex, MRI, CT Scan ইত্যাদি
হারসুটিজমের চিকিৎসা : কারণ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়া সম্ভব। সাধারণত Mechanical পদ্বতি, যেমন- Plucking, Shaving, Waving, Depilation, Bleaching ইত্যাদি করা হয়। ক্রিম হিসেবে Eflornithine cream ব্যবহার করা হয়। খাবার ওষুধের মধ্যে Spironolactone, Finestereide, Metformin. Dian 35 দেওয়া হয়। Chemical feeling ভালো চিকিৎসাপদ্ধতি। Laser-এর মাধ্যমে উন্নত ও ভালো চিকিৎসা সম্ভব।
হারসুটিজমের জটিলতা : সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া ও বিষণ্নতায় ভোগা, মাসিক অনিয়মিত বা বন্ধ হওয়া সন্তান ধারণক্ষমতা কমে যাওয়া কিংবা সন্তান না হওয়া। সর্বশেষ কথা হলো- হারসুটিজম শুধু সৌন্দর্যের হানি ঘটায় না, সামাজিক সমস্যা বা বিষণ্নতা নয় বরং এর পেছনে রয়েছে জটিল রোগ। তাই হেলাফেলা না করে অবশ্যই হরমোন, স্ত্রীরোগ ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ ও দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করুন।
লেখক : চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট
চেম্বার : আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০, ঢাকা
হটলাবর্তমানে প্রায় সব বাসায়ই বাথরুমে টয়লেট ও গোসলের ব্যবস্থা একসঙ্গে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো এমন জায়গায় অজু করা কি ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে জায়েজ? আর যদি জায়েজ হয়, তাহলে সেখানে অজুর দোয়া পড়া যাবে কি না?
ইসলামি শরিয়তের আদব হলো, টয়লেট ও বাথরুম আলাদা রাখা। অর্থাৎ, টয়লেট হলো প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের স্থান এবং বাথরুম হলো গোসলখানা। শরিয়তের আদব অনুসারে সম্ভব হলে অজুর জন্যও বাথরুমের বাইরে একটি স্বতন্ত্র জায়গা রাখা উচিত। কেউ নিজের মালিকানাধীন বাসা নির্মাণ করলে এমন আলাদা ডিজাইনের সুযোগ থাকে। তবে ভাড়া বাসায় এমন পৃথক ব্যবস্থা থাকা অনেক সময় সম্ভব হয় না।
যদি টয়লেট ও গোসলখানার মাঝখানে কোনো পর্দা বা আড়াল না থাকে, তাহলে নির্দিষ্ট কমোড ও পা-দানি ছাড়া বাকি অংশকে গোসলখানা হিসেবে ধরা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে নাপাকি থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রেখে সেখানে অজু করা যাবে। অক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে মহান আল্লাহ বান্দার নিয়ত অনুযায়ী অনেক বিষয় ক্ষমা করে দেন। সুতরাং, আশা করা যায়, এমন অবস্থায় আল্লাহতায়ালা ক্ষমাশীল হবেন।দসে অজুর শুরু ও শেষে কিছু দোয়া শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। অজু শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা সুন্নত ও ফজিলতপূর্ণ। কিন্তু টয়লেটে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা সুন্নাহ পরিপন্থী। কেননা, টয়লেট নাপাক স্থান; সেখানে দোয়া, দরুদ ও যিকির পাঠ করা আল্লাহর শান ও মর্যাদার বিরোধী। (দেখুন: ইবনে মাজাহ: ৩০৩; সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৪১৩; মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৩৫৪৩)
তাই আলেমদের পরামর্শ হলো, যদি টয়লেট ও গোসলখানা একসঙ্গে থাকে, তবে দ্রুত এর মাঝে একটি পার্টিশন বা আড়াল করে নেওয়া। এতে অজুর দোয়া পড়া সহজ হয় এবং আল্লাহর নামের মর্যাদাও বজায় থাকে। কিন্তু পার্টিশন না থাকলে, যত বড় জায়গাই হোক না কেন, সেটি টয়লেট হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলে সেখানে মুখে উচ্চারণ করে আল্লাহর নাম নেওয়া অনুচিত। এই অবস্থায় মনে মনে দোয়া করাই উত্তম।
তবে, এতে অজুর শুদ্ধতার কোনো সমস্যা নেই। মূল বিষয় হলো, দোয়া ও যিকিরের স্থান পবিত্র রাখা। ফিকাহ গ্রন্থ ‘আদ্দুররুল মুখতার’-এ উল্লেখ আছে: যদি বাথরুমে পর্যাপ্ত পানি ঢালা হয়, যার ফলে নাপাকি দূর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সেই জায়গা পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। (আদ্দুররুল মুখতার: ১/৩৩৩)
এই ভিত্তিতে সেখানে অজু, গোসল ও দোয়া—সবই জায়েজ। যেমন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এক বেদুঈনের মসজিদে প্রস্রাব করার পর সেখানে পানি ঢালার নির্দেশ দিয়েছিলেন (বুখারি: ২১৯)। এটি পবিত্রতার একটি নিদর্শন।
তবে সতর্কতার খাতিরে অনেক আলেম বলেন, টয়লেট ও গোসলখানার মাঝে পার্টিশন না থাকলে মুখে উচ্চারণ না করে মনে মনে দোয়া করা উত্তম। কেউ কেউ বলেন, যদি সম্ভব হয়, অজুর শুরুর অংশটি—যেমন ‘বিসমিল্লাহ’ বাথরুমের বাইরে বলাই ভালো।
সারকথা, আধুনিক সময়ের বাসস্থানে যেসব বাথরুমে টয়লেট ও গোসলখানা একত্রে, সেখানে অজু করা জায়েজ হলেও আল্লাহর নাম উচ্চারণ না করে মনে মনে দোয়া করাই উত্তম। সম্ভব হলে জায়গাটিকে আড়াল করে আলাদা করা ভালো, এতে দোয়ার মর্যাদাও বজায় থাকেইন : ১০৬৭২, ০৯৬৭৮৮২২৮২২
Post a Comment