বুকে ব্যথা অনুভব করলে আমরা প্রায়শই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, কারণ আমরা মনে করি এটি হৃদরোগের লক্ষণ। যদিও হৃদরোগের কারণে বুক ব্যথা হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তবে সব বুক ব্যথাই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নয়। পেশীর টান, হজমের সমস্যা, বা মানসিক চাপ থেকেও বুক ব্যথা হতে পারে। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ আছে, যা দেখা দিলে দ্রুত সতর্ক হওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।কখন বুঝবেন বুক ব্যথা হার্টের সমস্যার কারণে হচ্ছে?
হৃদরোগজনিত বুক ব্যথার কিছু সুস্পষ্ট লক্ষণ আছে যা অন্যান্য ব্যথা থেকে আলাদাব্যথার ধরন: হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে তীব্র চাপ, ভারী ভাব বা আঁটসাঁট অনুভূতির মতো হয়। অনেকে এই ব্যথাকে বুক চেপে ধরার মতো বলে বর্ণনা করেন। এই ব্যথা অল্প সময় এসে চলে যায় না, বরং দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়।
ব্যথার বিস্তার: হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা শুধুমাত্র বুকে সীমাবদ্ধ থাকে না। এই ব্যথা বুক থেকে বাম হাত, ঘাড়, চোয়াল, পিঠ বা পেটের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অন্যান্য লক্ষণ: ব্যথার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ঘোরা, বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং তীব্র অস্থিরতা বা ভয় অনুভূত হতে পারে। হাঁটাচলা বা পরিশ্রমের সময় ব্যথা বাড়লে এবং বিশ্রামের সময় কমলে তা হৃদরোগের লক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা বেসাধারণ বুক ব্যথা যা হার্টের কারণে নয়
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বুক ব্যথা অন্য কারণে হয়, যা মারাত্মক নয়পেশীর ব্যথা: বুকে থাকা পেশীর টান, আঘাত বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো অংশে হয় এবং চাপ দিলে বা নড়াচড়া করলে বাড়ে।
হজমের সমস্যা: গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি বা বুকজ্বালার কারণে বুকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। এটি সাধারণত খাওয়ার পর বা শুয়ে থাকার সময় বাড়ে।
মানসিক চাপ: অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা প্যানিক অ্যাটাকের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি এবং অস্থিরতা থাকতে পারে, তবে এটি সাধারণত অল্প সময়ের জন্য স্থায়ীযদি আপনার বুক ব্যথা হয় এবং উপরের হার্ট সংক্রান্ত লক্ষণগুলো দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে জরুরি চিকিৎসা সেবা নিন।
Post a Comment