মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ৪ জিকির

 


জিকির অর্থ মহান আল্লাহর স্মরণ। জিকির সর্বোত্তম ইবাদত। কেননা, মহান আল্লাহর স্মরণই হচ্ছে যাবতীয় ইবাদতের প্রধান ও অন্যতম লক্ষ্য। এটি মানসিক শান্তি ও হৃদয়ের প্রশান্তির উৎস।নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবিদেরকে অনেক ফজিলতপূর্ণ জিকিরের কথা বলেছেন। বিশেষত চারটি জিকিরের কথা বেশি বলেছেন। এগুলোকে আল্লাহর প্রিয় জিকির বলা হয়েছে। জিকিরগুলো হলো--


 

সুবাহানাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, আলহামদুলিল্লাহ অর্থাৎ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই, আল্লাহু আকবার অর্থাৎ আল্লাহ সবচেয়ে বড়।

 

হজরত সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, 

 

আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় জিকির চারটি। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার। এগুলোর যে কোনোটি দিয়ে তুমি শুরু করতে পারো। (মুসলিম, হাদিস: ৫৪১৬)

 


জিকিরগুলো একসঙ্গে মিলিয়ে এভাবে পড়া যায়, 

 

সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

 


আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রসুল (স.) বলেছেন, 

 

সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার পাঠ করা আমার কাছে ইহজগতের সব কিছুর চেয়ে বেশি প্রিয়। (মুসলিম ২৬৯৫)

 


একবার কয়েকজন দরিদ্র সাহাবি নবীজিকে গিয়ে বলেন, সম্পদশালী সাহাবিরা দান-সদকার মাধ্যমে নেক কাজে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের তো দান-সদকা করার মতো সামর্থ্য নেই। তখন নবীজি (স.) তাদেরকে প্রতি নামাজের পর ‘সুবাহানাল্লাহ’ ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ও ‘আল্লাহু আকবার’ পাহজরত আবু জর (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো, হে আল্লাহ্‌র রসুল, বিত্তবান লোকেরা সওয়াবের ক্ষেত্রে আমাদের থেকে এগিয়ে গেছে। আমরা যা বলি, তারাও তা বলে এবং তারা ধন-সম্পদ ব্যয় করে, কিন্তু আমরা তা পারি না। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি আপনাদের এমন আমল বলে দিচ্ছি, যা করলে আপনারা আপনাদের অগ্রবর্তীদের ধরতে পারবেন এবং আপনারা যাদের অগ্রবর্তী তারা আপনাদের অতিক্রম করতে পারবে না। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর আলহামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার ৩৩ বার, ৩৩বার এবং ৩৪ বার পাঠ করুন। (ইবনে মাজা ৯২৭)ঠ করার পরামর্শ দেন।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post