নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। এটি আদায় করা প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের উপর ফরজ। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসেব হবে। এটি আদায়ের রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। এ নীতিমালার আলোকেই নামাজ আদায় করতে হবে।অনেকে জানতে চান, হাফ হাতা জামা পরে নামাজ আদায় হবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নামাজের পোশাক শালীন হওয়া উচিত। এমন হওয়া উচিত যে পোশাক পরে আমরা সম্মানিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে লজ্জাবোধ করি না। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
হে আদম সন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় তোমরা সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করবে। (সুরা আরাফ, আয়াত: ৩১)
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
তোমাদের কেউ যেন এক কাপড় পরে এমন অবস্থায় নামাজ না পড়ে যে তার কাঁধে ওই কাপড়ের কোনো অংশ নেই। (বুখারি, হাদিস: ৩৫২; মুসলিম, হাউপরোক্ত আয়াত ও হাদিস থেকে বোঝা যায়, নামাজ আদায়ের সময় শুধু সতর ঢাকাই যথেষ্ট নয়। বরং সতর ঢাকার পর সামর্থ্য অনুযায়ী মার্জিত পোশাক পরিধান করে নামাজ আদায় করা উচিত। তাই হাফ হাতা জামা পরে নামাজ আদায় করা অনুত্তম। জামার হাতা বা নিচের কোনো অংশ ভাঁজ করা অবস্থায়ও নামাজ আদায় করা অনুত্তম।
তবে যদি কারো কাছে পূর্ণ হাতা জামা না থাকে, তখন হাতা কাটা জামা বা হাফ হাতা গেঞ্জি পরে নামাজ পড়লে সমস্যা নেই।হাদিস: ৫১৬)
Post a Comment