আমলকী আমাদের পরিচিত একটি ফল। একেকটি আমলকীতে ১০টি কমলার সমান ভিটামিন সি থাকে। এতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি কমায়, ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং চুল মজবুত করে। এছাড়া হজমশক্তি বাড়ানো, লিভার পরিষ্কার রাখা, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এবং হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও এটি কার্যকর।তবে সব মানুষের জন্য আমলকী সমানভাবে নিরাপদ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে এটি সাবধানে খেতে হবে।
কোন কোন সমস্যায় সাবধানতা প্রয়ো১. ডায়াবেটিস রোগী:
আমলকীতে প্রচুর ফাইবার থাকলেও যাদের রক্তে শর্করা হঠাৎ কমে যায় বা সাধারণত কম থাকে, তাদের জন্য অতিরিক্ত খাওয়া বিপজ্জনক। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
২. হার্টের রোগী:
হার্টের জন্য উপকারী হলেও যাদের আগে থেকেই হৃদরোগ আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বেশি আমলকী খাওয়া এড়াতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্লাড থিনার ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে।
৩. রক্তচাপের সমস্যা:
যাদের রক্তচাপ কম বা কমে যাওয়ার প্রবণতা আছে, তাদের জন্য নিয়মিত বেশি পরিমাণ আমলকী খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। মাথা ঘোরা, দুর্বলতা বা অস্বস্তি দেখা দিতে৪. কোষ্ঠকাঠিন্য:
অতিরিক্ত খেলে ট্যানিনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বাড়তে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া নিরাপদ।
৫. অ্যাসিডিটি বা অম্বল সমস্যা:
ভিটামিন সি ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হলেও যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অম্বল সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিক জ্বালা ও অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি মানুষের শরীরের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন। তাই আমলকী বা যেকোনো সুস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
Post a Comment