যে ৫ ফলকে কিডনির ‘রক্ষাকবচ’ বলা হয়

 


আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। মূত্র থেকে শুরু করে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক জরুরি কাজ একা হাতে সামলায় এই অঙ্গ। তাই সুস্থ থাকতে বৃক্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা জরুরি।


মানুষের শরীরে কিডনির সংখ্যা দুটিতাই একটি বিকল হলেও কাজ চলতে পারে অন্যটি দিয়ে। ফলে অন্যান্য অঙ্গের মতো প্রথমেই কিডনির ক্ষতির আঁচ বাইরে থেকে পাওয়া যায় না। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যায় চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কয়েকটি ফল খেলে কিডনি অনেকাংশে সুস্থ রাখা সম্ভবকী সেসব ফল, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক— 

ব্লুবেরি


বেরি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ। এটি কিডনির প্রদাহ কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে আনে। কম পটাশিয়াম থাকায় এটি কিডনি রোগীদের জন্যও নিরাপদ।


ক্র্যানবেরি


ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) প্রতিরোধে ক্র্যানবেরি বিশেষ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ফাইটো-কেমিক্যাল ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কিডনির টিস্যু সুরক্ষায় কাআপেল


আপেল ফাইবার সমৃদ্ধ ও কম পটাশিয়ামযুক্ত একটি ফল। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্সিফাই করে। এতে প্রদাহ কমে এবং কিডনির ওপর চাপ হ্রাস পালাল আঙুর


লাল আঙুরে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও রেসভারাট্রল কিডনির ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়ক। এটি বিশেষত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতায় কিডনিকে সুরক্ষা দেয়।


বেদানা


বেদানা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও পলিফেনলে সমৃদ্ধ। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগজনিত কিডনি ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।


খাদ্যাভ্যাসে নিয়মিত এই ফলগুলো যুক্ত করলে কিডনির কার্যকারিতা দীর্ঘদিন বজায় রাখা সম্ভব। এগুলো শরীরকে টক্সিনমুক্ত করে, প্রদাহ কমায় এবং কিডনিকে ভালো রাখে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে কিডনি রক্ষার জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে এই ফলগুলো রাকিডনির কয়েকটি লক্ষণ দেখলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। যেমন- 


আচমকা প্রস্রাবের রং বাদামি হয়ে যায় তাহলে তা কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে। প্রস্রাব ঠিক মতো না হলে কিংবা একবারে প্রস্রাব করতে না পারলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। 

ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষণ কিডনির অসুখের কারণেও হতে পারে। ডাক্তারি পরিভাষায় একে নকচুরিয়া বলা হয়। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি মূত্রত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

কিডনি বিকল হয়ে গেলে শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ মূত্রের সঙ্গে বের হয় না। কিডনির সমস্যার ফলে শরীরেই সেই ক্ষতিকর পদার্থগুলো জমতে থাকে। তা থেকে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।

পায়ের পাতা, আঙুল, মুখ ফুলতে শুরু করাটাও কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে।

শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করার পাশাপাশি রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে লোহিত কণিকা উৎপাদন করা, বিভিন্ন খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখা, হাড়ের স্বাস্থ্য—সবই নির্ভর করে কিডনিকিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে মূত্রের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থ দেহের বাইরে বের হতে পারে না। যার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। 

কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক না থাকলে শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দেয়। 

কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে খাওয়ার ইচ্ছে চলে যেতে পারে।

সূত্র : আজকালর ওপর।খা উচিত।য়।র্যকর।।।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post