জন্ডিসকে অনেকেই সাধারণ অসুস্থতা ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু একটি রোগ নয় বরং শরীরের ভেতরে গুরুতর সমস্যার সতর্কবার্তা। তাই উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
জন্ডিস কীভাবে চেনা যায়
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদাভ হয়ে ওঠে, যাকে জন্ডিস বলা হয়। এর সঙ্গে জ্বর, ক্লান্তি, বমি ভাব, উরু বা পেটের উপরের অংশে ব্যথা এবং গাঢ় রঙের মূত্রও সাধারণ লক্ষজন্ডিসের ৫ প্রধান কারণ
১. লিভারের সংক্রমণ (হেপাটাইটিস এ–ই): ভাইরাসজনিত সংক্রমণ সরাসরি লিভারের কার্যকারিতা ব্যাহত করে। এছাড়া সিরোসিস বা অটোইমিউন রোগও জন্ডিসের কারণ হতে পারে।
২. রেড ব্লাড সেল দ্রুত ধ্বংস (হিমোলাইসিস): সংক্রমণ, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বা অটোইমিউন রোগে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত রক্তকণিকা নষ্ট হলে বিলিরুবিন বেড়ে যায় এবং জন্ডিস . বাইল ডাক্টে অবরোধ: পিত্তনালীতে স্টোন, টিউমার বা প্রদাহের কারণে পিত্তের প্রবাহ ব্যাহত হলে রক্তে বিলিরুবিন জমে যায়।৪. অ্যালকোহলজনিত লিভার ক্ষতি: দীর্ঘমেয়াদি মদ্যপান লিভারের কোষ নষ্ট করে সিরোসিস ডেকে আনে, ফলে জন্ডিস দেখা দেয়৫. ওষুধ, টক্সিন ও অন্যান্য কারণ: অতিরিক্ত প্যারাসিটামল, স্টেরয়েড, ক্ষতিকারক রাসায়নিক, জেনেটিক সমস্যা, গর্ভাবস্থার হরমোন পরিবর্তন বা ক্যানসারও জন্ডিসের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।সতর্কবার্তা
চিকিৎসকরা বলছেন, জন্ডিস শুধু বাহ্যিক লক্ষণ নয়; এটি শরীরের ভেতরে লিভার, রক্ত ও মেটাবলিজমে জটিলতার ইঙ্গিত দেয়। তাই অবহেলা না করে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, দ্রুত চিকিৎসা এবং সুষম জীবনযাপন অপরিহার্য।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি পান, বিশ্রাম এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস লিভারকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। সচেতনতা ও প্রাথমিক চিকিৎসাই জন্ডিস থেকে জটিলতা এড়ানোর মূল উপায়।
Post a Comment