সব মাথা ব্যথা টিউমার নয়, তবে অবহেলা করলে বাড়তে পারে বিপদ

 


আমাদের মধ্যে অনেকেরই প্রায় সময় মাথা ব্যথা হয়। কিন্তু সেই পরিচিত উপসর্গটাই কখনো হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী মস্তিষ্কজনিত অসুস্থতার প্রাথমিক সতর্কবার্তা। বিশেষত, ব্রেন টিউমারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। যদিও অনেকেই সেটিকে অবহেলা করেন।


সময়মতো এই লক্ষণের চিকিৎসা না নিলে ভুলের মাশুল হতে পারে ভয়ঙ্কর। এই প্রসঙ্গে নিউরো সার্জনরা জানাচ্ছেন বিস্তারিত। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—


সব টিউমার কি ক্যান্সার


বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘শরীরের অন্যান্য অংশের মতো মস্তিষ্কেও টিউমার হতে পারে। এই টিউমার মূলত দুই ধরনের—বি-৯ (নন-ক্যান্সারাস) ও ম্যালিগন্যান্ট (ক্যান্সাম্যালিগন্যান্ট টিউমার শরীরের অন্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এখানেই এর ভয়াবহতা।’

নন-ক্যান্সারাস টিউমারের মধ্যে অন্যতম মেনিনজিওমা, এটি মস্তিষ্কের বাইরের আবরণে হয়। এগুলোর বৃদ্ধি ধীর হলেও মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে, কিছু টিউমার ব্রেন টিস্যুর গভীরে গড়ে উঠে, যেগুলোর ঝুঁকি অনেক বেশিকখন সতর্ক হবেন


মাথাব্যথার পাশাপাশি যদি—


বমি বমি ভাব বা বমি

ঝিমুনি বা ঘুম ঘুম ভাব

ক্লান্তি, দুর্বলতা

বিকেল বা রাতে মাথা ব্যথা বেড়ে যায়।

এসব লক্ষণ দেখা দিলে সেটি হতে পারে ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক ইঙ্গিত। চিকিৎসকরা বলেন, ‘এই উপসর্গগুলো অনেকেই অবহেলা করেন। মাথা ধরলেই পেইনকিলার খেয়ে নেন। ফলে রোগ শনাক্তে দেরি হয়, চিকিৎসাও জটিল ব্রেন টিউমার মানেই কি মৃত্যু?


‘একেবারেই না।’ চিকিৎসকরা বলে, লো গ্রেড টিউমার হলে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে রোগী একেবারে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। আর হাই গ্রেড ক্যান্সারাস টিউমার হলেও চিকিৎসা, রেডিওথেরাপি, নিয়মিত ফলো-আপে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।


চিকিৎসকদের কথায়, ‘রোগীরা ভয় পান—যদি খারাপ কিছু ধরা পড়ে! অথচ সিটিস্ক্যান বা এমআরআই-ই একমাত্র উপায় টিউমার শনাক্ত করার। আজকাল সরকারি হাসপাতালেও এই স্ক্যানগুলো সুলভে করা যায়। সময় নষ্ট না করে স্ক্যান করানোই বুদ্ধিমানের কাশিশুদের ক্ষেত্রেও বাড়ছে ঝুঁকি


বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে শিশুদের মধ্যেও ব্রেন টিউমার দেখা যাচ্ছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে অভিভাবকদের। শিশুদের মধ্যে ব্রেন টিউমারের লক্ষণগুলো হল—


শিশুর মাথা অস্বাভাবিক বড়

খেতে অনীহা

ঘন ঘন বমি

নিস্তেজ ভাব

চোখের সমস্যা

—এই উপসর্গগুলো অবহেলা করা ঠিক নয়।


সার্জারির পর স্বাভাবিক জীবন


সার্জারির পর রোগীর জীবন অনেকটাই স্বাভাবিক হতে পারে, বিশেষ করে যদি টিউমার লো গ্রেড বা নন-ক্যান্সারাস হয়। তবে হাই গ্রেড ক্যান্সারাস টিউমার হলে সার্জারির পরও ফলো-আপ, রেডিওথেরাপি এবং চিকিৎসকের নিয়মিত পরামর্শ প্রয়োজন। তাই ননিউরোলজিস্ট নয়, কখন সরাসরি নিউরো সার্জনের পরামর্শ নেবেন


নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো থাকলে দেরি না করে নিউরো সার্জনের পরামর্শ নেওয়া উচিত—


প্রতিদিন মাথা ব্যথা, বিশেষ করে বিকেলে বা রাতে

বমি বা বমি ভাব

দুর্বলতা, ঝিমুনি

চোখে সমস্যা বা ঝাপসা দেখা

খিঁচুনি বা স্মৃতিভ্রংশ

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্রেন টিউমার মানেই শেষ নয়। সময়মতো ধরা পড়লে চিকিৎসায় সাফল্য সম্ভব। ভয় নয়, সচেতনতা জরুরি। মাথা ব্যথা, ঝাপসা দেখা, বমি—এসব উপসর্গ অবহেলা না করে চিকিৎসা নেওয়াই হলো সঠিক সিদ্ধান্ত। তাই সচেতন থাকুন, নিজের সঙ্গে সঙ্গে অন্যকেও সসূত্র : দ্য ওয়ালচেতন করুনজরদারি জরুরি।জ।’হয়ে যায়।।রাস)।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post