ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা ইনসুলিন প্রতিরোধ একটি নীরব রোগ, যা অনেক সময় অজান্তেই শরীরে ধরা দেয়। এতে শরীরের কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি স্বাভাবিকভাবে সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ ও অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে।AIIMS দিল্লির নিউরোলজিস্ট ডা. প্রিয়াঙ্কা শেরাওয়াত জানান, “ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স মানে আপনার কোষগুলো ইনসুলিনকে ঠিকভাবে চিনতে পারছে না। ইনসুলিন মূলত গ্লুকোজকে রক্ত থেকে কোষে প্রবেশ করায়, যাতে শরীর শক্তি পায়। কিন্তু যখন এই প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ে, তখন রক্তে শর্করা জমে যায় আর কোষ শক্তি পায় না।”
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের প্রাথমিক ২টি সংকেত
🔴 অ্যাকানথোসিস নিগরিকানস (Acanthosis Nigricans):
ঘাড়ের পিছনে কালো, মসৃণ ও ভেলভেটি দাগ—এটি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের অন্যতম শক্তিশালী ইঙ্গিত। ডা. শেরাওয়াত বলেন, “এই কালো দাগ আসলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের স্পষ্ট সতর্ক সংমেটাবলিক সিন্ড্রোম (Metabolic Syndrome):
এটি একগুচ্ছ ঝুঁকির ফ্যাক্টরের সমষ্টি, যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায়। যদি নিম্নলিখিত ৫টির মধ্যে অন্তত ৩টি উপস্থিত থাকে, তবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সম্ভাবনা প্রবলমেটাবলিক সিন্ড্রোম (Metabolic Syndrome):
এটি একগুচ্ছ ঝুঁকির ফ্যাক্টরের সমষ্টি, যা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায়। যদি নিম্নলিখিত ৫টির মধ্যে অন্তত ৩টি উপস্থিত থাকে, তবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সম্ভাবনা প্রবলউচ্চ রক্তচাপ
খালি পেটে রক্তে শর্করা বেশি
ট্রাইগ্লিসারাইড ১৫০ mg/dL বা তার বেশি
ভালো কোলেস্টেরল (HDL) কম – পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪০ mg/dL এর নিচে, মহিলাদের ক্ষেত্রে ৫০ mg/dL এর নিচে
পেটের মেদ – পুরুষদের কোমর ৪০ ইঞ্চির বেশি, মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩৫ ইঞ্চির বেশি
ডা. শেরাওয়াতের মতে, বিশেষ করে পেটের মেদ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও মেটাবলিক ডিসঅর্ডারের বড় কারণ।
কীভাবে কমানো যায় ঝুঁকি?
সুসংবাদ হলো, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণযোগ্য ও উল্টে দেওয়া সম্ভব।
ডা. শেরাওয়াত বলেন, “সবচেয়ে কার্যকর ও কম খরচের উপায় হলো নিয়মিত এরোবিক ব্যায়াম—বিশেষ করে হাঁটা।” এটি রক্তচাপ কমায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তে শর্করা কমায় এবং পেটের মেদ হ্রাস করে।
কবে ডাক্তারের কাছে যাবেন?
যদি ঘাড়ে কালো দাগ, অস্বাভাবিক পেটের মেদ বা মেটাবলিক সিন্ড্রোমের অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডা. শেরাওয়াত সতর্ক করে বলেন, “এই মার্কারগুলো থাকলে অবশ্যই জেনারেল ফিজিশিয়ান বা এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের কাছে যান। কারণ নীরব ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স অনেক সময় বড় সহজ করে বললে:
গলায় কালো দাগ + পেটের মেদ = সম্ভাব্য ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স
তাই সময়মতো সচেতনতা ও নিয়মিত ব্যায়ামই পারে এ ঝুঁকি কমাতে।ক্ষতির পর ধরা পড়ে
Post a Comment