গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি একটি সাধারণ সমস্যা, যা আমরা প্রায়ই কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার কারণে অনুভব করি। কিছু খাবার আছে যা পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় বা খাদ্যনালীর স্ফিঙ্কটার (Sphincter) পেশীকে শিথিল করে দেয়, যার ফলে পেটের অ্যাসিড উপরে উঠে আসে এবং বুকে জ্বালাপোড়া হয়। এখানে এমন ৫টি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি একটি সাধারণ সমস্যা, যা আমরা প্রায়ই কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার কারণে অনুভব করি। কিছু খাবার আছে যা পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় বা খাদ্যনালীর স্ফিঙ্কটার (Sphincter) পেশীকে শিথিল করে দেয়, যার ফলে পেটের অ্যাসিড উপরে উঠে আসে এবং বুকে জ্বালাপোড়া হয়। এখানে এমন ৫টি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে:
১. মসলাযুক্ত এবং তৈলাক্ত খাবার
বিরিয়ানি, কাবাব, ফাস্ট ফুড এবং অতিরিক্ত তেল, ঘি বা মসলা দিয়ে রান্না করা খাবার হজম হতে অনেক সময় নেয়। এই ধরনের খাবার দীর্ঘ সময় পেটে থাকার কারণে পাকস্থলী বেশি অ্যাসিড তৈরি করে। এছাড়া, মসলা পেটের ভেতরের আবরণকে জ্বালাতন করে, যা বুক জ্বালাপোড়ার কারণ হয়।
২. টক ফল এবং টমেটো
কমলা, লেবু, আঙুর এবং টমেটোর মতো টক ফলে সাইট্রিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। এই অ্যাসিডগুলো পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে খালি পেটে এই ফলগুলো খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যাওয়ামসলাযুক্ত এবং তৈলাক্ত খাবার
বিরিয়ানি, কাবাব, ফাস্ট ফুড এবং অতিরিক্ত তেল, ঘি বা মসলা দিয়ে রান্না করা খাবার হজম হতে অনেক সময় নেয়। এই ধরনের খাবার দীর্ঘ সময় পেটে থাকার কারণে পাকস্থলী বেশি অ্যাসিড তৈরি করে। এছাড়া, মসলা পেটের ভেতরের আবরণকে জ্বালাতন করে, যা বুক জ্বালাপোড়ার কারণ হয়।
২. টক ফল এবং টমেটো
কমলা, লেবু, আঙুর এবং টমেটোর মতো টক ফলে সাইট্রিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। এই অ্যাসিডগুলো পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে খালি পেটে এই ফলগুলো খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থা৩. কফি এবং চা
কফি এবং চায়ে থাকা ক্যাফেইন পাকস্থলীতে অ্যাসিড উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। ক্যাফেইন খাদ্যনালীর স্ফিঙ্কটার পেশীকেও শিথিল করে দেয়, যার ফলে পাকস্থলীর অ্যাসিড সহজেই খাদ্যনালীতে উঠে আসতে পারে, যা বুক জ্বালাপোড়ার কারণ হয়। অতিরিক্ত চা বা কফি পান করা গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর. কার্বনেটেড পানীয়
কার্বনেটেড ড্রিংকস বা সফট ড্রিংকস যেমন কোলা, সোডা, এবং অন্যান্য ফিজি পানীয়গুলোতে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস থাকে। এই গ্যাস পেটে প্রবেশ করলে পেটে চাপ সৃষ্টি হয় এবং গ্যাস উপরের দিকে উঠে আসে, যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়৫. কাঁচা পেঁয়াজ এবং রসুন
কাঁচা পেঁয়াজ এবং রসুনে এমন কিছু যৌগ থাকে যা কিছু মানুষের পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায় এবং হজমের সমস্যা তৈরি করে। বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যাদের আছে, তাদের জন্য কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুন এড়িয়ে চলা ভালো।
মনে রাখা জরুরি যে, সব মানুষের শরীর একই ধরনের খাবারকে একই ভাবে গ্রহণ করে না। তাই আপনার জন্য কোন খাবারগুলো সমস্যা তৈরি করছে, তা খেয়াল রাখা জরুরি। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলার পাশাপাশি অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাবার খাওয়া, রাতে ঘুমানোর ২-৩ ঘণ্টা আগে খাওয়া শেষ করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
Post a Comment