আল্লাহ বলেন:
﴿وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا﴾
‘তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন—তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করবে এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে।” (সুরা বনী ইসরাঈল, আয়াত : ২৩) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘পিতা জান্নাতের মধ্যম দরজা। তুমি চাইলে সেটিকে নষ্ট করো, চাইলে সেটাকে হেফাযত করো।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯০০)
বার্ধক্যের সময় খেদমতের গুরুত্ব
যখন পিতা-মাতা বৃদ্ধ হন, তখন তারা দুর্বল হয়ে পড়েন, তখন তাদের সহায়তার প্রয়োজন হয়।
এসময় সন্তানদের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। তখন ধৈর্য, দয়া ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা করাই জান্নাতের বড় মাধ্যম।
যে ব্যর্থ হলো, তার জন্য কঠিন হুঁশিয়ারি
রাসুল (সা.) তিনবার পুনরাবৃত্তি করেছেন—যাতে বোঝানো যায়, এমন সুযোগ হাতছাড়া করা বড় ধ্বংসের আলামত। অন্য কেউ যদি পিতা-মাতার খেদমত করার সুযোগ না পায়, তবে তা আল্লাহর ইচ্ছা; কিন্তু যে পেয়েও কাজে লাগাল না, সে নিঃসন্দেহে বড় ক্ষতিগ্রস্ত।
হাদিস থেকে শিক্ষণীয় বিষয়
* পিতা-মাতার খেদমত করা শুধু দুনিয়ার দায়িত্ব নয়, বরং জান্নাতের এক বিবৃদ্ধ বয়সে তাদের সাথে ধৈর্যশীল ও দয়ালু আচরণ করা অপরিহার্য।
* পিতা-মাতার অবাধ্যতা, অবহেলা বা তাদের প্রতি কষ্টদায়ক আচরণ করলে মানুষ জান্নাত থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
* পিতা-মাতা জীবিত থাকাকালে তাদের দোয়া আদায় করতে হবে, আর মৃত্যুর পর দোয়া ও সাদকায়ে জারিয়া চালু রাখতে হবে।শাল চাবিকাঠি।
Post a Comment