লিভারে মেদ জমে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা তৈরি হয়। এ নিয়ে সচেতনতা যেমন বাড়ছে, তেমনি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন আরও মারাত্মক রোগ সিরোসিস সম্পর্কে। লিভারের ফাইব্রোসিস বা ক্ষতের শেষ ধাপই হলো সিরোসিস। এটি দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক হলে জীবন ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যায় এবং লিভার ক্যানসারের ঝুঁকিও বহুগুণ বাড়ে।
কেন হয় সিরোসিস
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এবং আমেরিকান লিভার ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, লিভার শরীরে মেদ তৈরি করে এবং তা রক্তের মাধ্যমে পেশিতে পৌঁছায়। কিন্তু লিভার যতটা মেদ তৈরি করছে, তার তুলনায় খরচ কম হলে অতিরিক্ত মেদ লিভারে জমতে থাকে। এভাবেই ফ্যাটি লিভারের সূচনা হয়
.দীর্ঘদিন লিভারের অসুখ থাকা,
. অতিরিক্ত মদ্যপান
কিবা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই ধীরে ধীরে সিরোসিসে রূপ নেয়।
স্থূলতা ও ডায়াবেটিস,
অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবার, অ্যালকোহল, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স—সব মিলিয়ে ‘মেটাবলিক সিনড্রোম’ তৈরি হয়, যা সিরোসিসের জন্ম দেয়।
উপেক্ষা না করার মতো লক্ষণ
সিরোসিস হওয়ার শুরুতেই শরীর কিছু সঙ্কেত দেয়। সেগুলো হলো:
জন্ডিস: লিভারে ক্ষত তৈরি হলে বিলিরুবিন বেড়ে যায়।
ঘন ঘন কালশিটে পড়া: লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রোটিন উৎপাদন কমে যায়।
পা ও গোড়ালিতে জ্বালাভাব: অ্যালবুমিন প্রোটিনের ঘাটতির কারণে।
পেট ফাঁপা ও তরল জমা: দীর্ঘদিনের লিভার রোগে পেটে পানি জমে যায়, ওজন কমতে শুরু করে।
. খিদে কমে যাওয়া ও দুর্বলতা
:বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: সঠিক সময়ে শনাক্ত করা গেলে সিরোসিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। তাই লিভার-সংক্রান্ত এসব প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সতর্কতা ও সচেতনতাই পারে ফ্যাটি লিভারকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ভয়ংকর সিরোসিস থেকে বাঁচাতে।
Post a Comment