সালাদ শুধু ওজন কমানোর উপায় নয়, বরং একটি সুস্থ জীবনযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেকেই ভাবেন, সালাদ মানেই ভাতের সঙ্গে কয়েক টুকরো শসা, পেঁয়াজ, গাজর আর কাঁচা মরিচ। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, সালাদ হতে পারে দুপুর বা রাতের মূল খাবারও।
শরীর সুস্থ রাখতে বা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই প্রতিদিন সালাদ খাচ্ছেফলের সালাদ, শাকসবজির সালাদ অথবা মিশ্র ধরনের সালাদ। তবে চারটি বিষয়ের দিকে নজর না দিলে সালাদ খেয়েও শরীরে বাড়তে পারে চিনি ও অতিরিক্ত ক্যালরি। চলুন, জেনে নিই সেগুলো কী।
ফল বেছে খাওয়ার কৌশল জানুন
ফলের সালাদ জনপ্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর, এ কথা ঠিকিন্তু সব ফল একইরকম নয়। রসালো ও স্বাদে মিষ্টি ফল যেমন কলা, আম, আঙুর প্রাকৃতিক হলেও হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস থাকলে। এ ধরনের ফল মেপে খান। এর বদলে বেছে নিতে পারেন আপেল, পেয়ারা, নাসপাতি, বেরি জাতীয় ফল, কমলালেবু, লেবু ইত্যাদি।
শুধু শাকসবজিই নয়, চাই পর্যাপ্ত প্রোটিন
শাকসবজিতে ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকলেও শুধু শাকসবজি দিয়ে ভরপেট খেলে শরীরের প্রোটিন ঘাটতি থেকে যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর ও পরিপূর্ণ সালাদ তৈরি করতে প্রোটিন থাকা আবশ্যক। আপনি চাইলে সালাদে ডিম, মুরগি, মাছ, পনির, ছোলা ব্যবহার করতে পারেন।
ড্রেসিং
বাজারের অনেক সালাদ ড্রেসিং যেমন মেয়োনেজ, হানি মাস্টার্ড, মধু, ম্যাপল সিরাপ ইত্যাদি দেখতে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও, অনেক সময় এতে থাকে লুকোনো চিনি ও কৃত্রিম রাসায়নিক। ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করুন সালাদ ড্রেসিং।
ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল, লেবুর রস, সরিষার বাটা বা ঘরোয়া ভিনেগার, লবণ বা গোলমরিচ।
ফ্যাট বাদ নয়, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট চাই
অনেকেই ওজন কমানোর জন্য চর্বি বা ফ্যাট একেবারেই বাদ দেন। কিন্তু শরীরের পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকা জরুরি।
সূত্র : আনন্দবাজারক।ন।
Post a Comment