গতবছর ও চলতি বছরে এ রাজ্যেও অ্যামিবা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে !এ রাজ্যেও প্রায় ২০ জন অ্যামিবা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ২০ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৪ জন ভর্তি ছিলেন মল্লিকবাজার INK-তে INK-তে ভর্তি থাকা ১৪ জনের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়। গতবছর SSKM-এও ভর্তি ছিলেন এক অ্যামিবা আক্রান্ত রোগী। পরিষ্কার জল থেকে নাকের মাধ্যমে মস্তিষ্কে চলে যায় অ্যামিবা। অ্যামিবা সংক্রমণে ব্রেন ফিভারে আক্রান্ত হন রোগী। ব্রেন প্রায় অকেজো করে দেয় অ্যামিবা।
এই সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, কেরল সরকার বিদেশ থেকে এনে একটি বিশেষ ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছেন। সেই অ্যান্টি বায়োটিক ব্যবহার করে তাঁরা যেটা দাবি করছেন, সারা বিশ্বে এর ডেথ রেট (মৃত্যুর হার) ৯৫ শতাংশ। সেটা কমিয়ে এনে ২৫ শতাংশ করেছেন। এবং একইসঙ্গে কেরল সরকারের তরফে দাবি করা হচ্ছে, সমস্ত জায়গায় পরিষ্কার জল যেগুলি আছে, সেগুলি ক্লোরিনেশন করা হচ্ছে। এবং চিকিৎসকরা যেটা জানাচ্ছেন যে, পরিষ্কার জল থেকেই এই অ্যামিবার সংক্রমণ ছড়ায়। এই বিশেষ অ্যামিবার সংক্রমণটা , জলে সাঁতার কাটলে অনেক সময় ছড়াতে পারে। জলে বসে থাকলে,বা জলে খেলা করলে, এটা হতে পারে। যদিও কেরল সরকার এখনও স্বীকার করেনি যে, স্যুইমিং পুল বা অন্য জায়গা থেকে এটা ছড়িয়েছে। তাঁরা বলছেন তদন্ত করা হচ্ছে। এবং এই মুহূর্তে কেরল সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য, তাঁরা বিশেষ চিকিৎসা চালাচ্ছেন। বিদেশ থেকে বিশেষ ওষুধ এনে, এবং সমস্ত জায়গায়, জমা জল ও পরিষ্কার জল, সেগুলি ক্লোরিনেশন করা হচ্ছে। তবে কেন শুধুমাত্র কেরলেই এই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অবশ্যই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
চিকিৎসক এ শোভানা বলেছেন, মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা বলতে কিছু কিছু প্রোটোজোয়া আছে, তারাও এটা করতে পারে। তার মধ্যে এই ফ্রি লিভিং অ্যামিবাগুলি, আমরা এগুলি পরিষ্কার জলে পেতে পারি। তারাও কিন্তু মানুষের শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে, এবং ওরা মূলত নাক দিয়ে প্রবেশ করে। ঢুকে সোজা ব্রেন অবধি পৌঁছে যায়। সারাবিশ্বে এমন কোনও গাইডলাইন নেই যে, এটা চলবে, বা এটা কাজে আসতে পারে। সবাই এক্সপেরিমেন্টাল বেসিসে, এটা না হলে, আরেকটা ওষুধ..বা কম্বিনেশন অব ওষুধ দিয়েই ডিল করেন। এবং ওষুধগুলি প্রচন্ডভাবে দামী। 'ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কেরলে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবার দাপট। মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৯। ৬৯ জন অ্যামিবা আক্রান্তের মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোঝিকোড়, মালাপ্পুরমে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়েছে।
Post a Comment