পিত্তথলির পাথর হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি

 পিওথলির পাথর একটি 'নীরব' রোগ, যা প্রাথমিক অবস্থায় প্রায়শই ধরা পড়ে না। পিত্তরসে থাকা পানি, কোলেস্টেরল ও বিলিরুবিনের ভারসাম্য নষ্ট হলে বা পিত্তথলি সঠিকভাবে খালি না হলে এই পাথর তৈরি হয়। সময়মতো চিকিৎসা না করালে এটি মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।



লক্ষণ ও সতর্কতা



পিত্তথলির পাথরকে প্রায়ই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বলে ভুল করা হয়। এর প্রধান লক্ষণ হলো:


* চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ পেটের ডান দিকে বা মাঝখানে তীব্র ব্যথা।


* বমি ও জ্বর।


* হজমে সমস্যা।


* চামড়া ও চোখ হলদে হয়ে যাওয়া।


যদি এমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


যাদের ঝুঁকি বেশি


গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি:


* পুরুষের তুলনায় নারীরা: বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের এই ঝুঁকি বেশি।



* স্থূলকায় ব্যক্তি: যাদের ওজন বেশি, তাদের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।



* ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তি: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ে।


* কম শারীরিক পরিশ্রম করেন এমন ব্যক্তি: যারা দীর্ঘ সময় নিষ্ক্রিয় থাকেন।


* যারা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকেন: খাদ্যাভ্যাসের অনিয়মও একটি কারণ হতে পারে।


করণীয় ও চিকিৎসা


পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা আবশ্যক। নিয়মিত হাঁটা, পর্যাপ্ত পানি পান, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি পাথর ধরা পড়ে, তবে এর প্রধান চিকিৎসা হলো অস্ত্রোপচার। 'ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটোমি' নামআপনার কি মনে হয় খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন এই রোগ প্রতিরোধে কতটা কার্যকর?ক এই পদ্ধতিটি খুবই নিরাপদ ও প্রচলিত।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post