বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে একটি বড় সমস্যা হলো খাবারের সময় মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেটের ব্যবহার। অনেক বাবা-মা সন্তানকে খাওয়ানোর সময় ফোন হাতে দেন, যাতে তারা সহজে খেয়ে নেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অভ্যাস শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং দীর্ঘমেয়াদে আসক্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।শিশুরা সাধারণত খেলাধুলা বা গল্পের মাধ্যমে খাবারে আগ্রহী হয়। কিন্তু মোবাইল ফোনে ভিডিও বা গেম চালিয়ে খাওয়ালে তাদের মস্তিষ্ক খাবারকে বিনোদনের সঙ্গে যুক্ত করে ফেলে। ফলে ফোন ছাড়া খেতে চায় না। এতে খাবারকে স্বাভাবিক অভ্যাস হিসেবে না দেখে নির্ভরশীলতা তৈরি হয়।
সম্ভাব্য ক্ষতি
খাবারের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হয়, ফলে হজমজনিত সমস্যা বাসমস্যার মূল কারণটিভি বা ফোনে ডুবে থেকে বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে, যা স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
চোখ ও মস্তিষ্কের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।
সামাজিক ও পারিবারিক যোগাযোগ কমে যায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
১. ক্রমে অভ্যাস পরিবর্তন করুন – হঠাৎ ফোন বন্ধ না করে প্রথমে নির্দিষ্ট সময় সীমা বেঁধে দিন।
২. খাবারের পরিবেশ আনন্দময় করুন – টেবিলে পরিবারের সবাই মিলে গল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ান – শিশুকে রান্নায় ছোট ছোট কাজে যুক্ত করুন বা রঙিন স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করুন।
৪. অন্য বিকল্প দিন – ফোনের পরিবর্তে গল্পের বই, খেলনা বা গান শোনানো যেতে পারে।
৫. অভিভাবককে উদাহরণ হতে হবে – বাবা-মা নিজেরাই খাওয়ার সময় ফোন ব্যবহার না করলে শিশুরাও শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, খাবার শুধু শরীরের জ্বালানি নয়, বরং পরিবারে যোগাযোগের অন্যতম সময়। তাই সন্তানকে ফোনে আসক্ত না করে খাবারকে আনন্দের উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।সহজে শিখবে।ড়ে।
Post a Comment