আধুনিক যুগে মানুষের ব্যস্ততা দিন দিন বাড়ছে। আর এই ব্যস্ততার ভিড়ে অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে উচ্চ রক্তচাপ। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণহীন রক্তচাপ হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ওষুধের পাশাপাশি জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতা অত্যন্ত জরুরিসম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক গ্লাস বিশেষ একটি রস পান করলে রক্তচাপ প্রাকৃতিকভাবে কমতে পারে। আর সেটি হলো বিটের রস।
বিট রুটে রয়েছে প্রচুর ইনঅর্গানিক নাইট্রেট। মুখের ভেতরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া এই নাইট্রেটকে নাইট্রাইটে এবং পরে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত করেনাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালিকে প্রসারিত করে এবং রক্তপ্রবাহ সহজ করে তোলে। এর ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।শুধু তা-ই নয়, বিট রুটে থাকা বেটালেইন ও অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তনালির আস্তরণ বা এন্ডোথেলিয়াম রক্ষা করে, যা দীর্ঘ মেয়াদে হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় সাহায্য করে।
কতটা রস খাওয়া উচিত
গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ মিলিলিটার টাটকা বিটের রস পান করাই যথেষ্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে এই রস খাওয়া সবচেয়ে উপকারী হতে পারে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তা শরীরে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
বিটের রস শুধু রক্তচাপ কমায় না, আরো নানা উপকারে আসে। যেমন শরীরে স্ট্যামিনা বাড়ায়, মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়াতে পারে, লিভারের টক্সিন দূর করতে সহায়তবে বিশেষ কিছু শারীরিক সমস্যায় বিটের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।বিশেষ করে যাদের কিডনিতে পাথর আছে, তাদের জন্য বীটের রস ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ এতে প্রচুর অক্সালেট রয়েছে। তা ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে বিটের রস পান করলে হজমে সমস্যা, পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, বিটের রসকে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে দীর্ঘমেয়াদে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহজ হতে পারে। তবে কারো যদি আগেই কোনো শারীরিক জটিলতা থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রস পান করা উচিত।তা করে।।।
Post a Comment